অভিজিৎ হত্যাঃ তদন্ত স্থবির
নিজস্ব প্রতিবেদক
এ বছরের ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ অমর একুশে বইমেলা থেকে ফেরার সময় অভিজিৎ রায়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কয়েকজন দুর্বিত্ত কুপিয়ে হত্যা করে । এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই এর দায় স্বীকার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। দু`মাস পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপ-মহাদেশ শাখাও অভিজিৎ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তবে আলামত যাচাইয়ে এফবিআইয়ের সহযোগিতা না পাওয়ায় তদন্ত কাজ গতি পাচ্ছে না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান জানান, ‘তদন্ত নিজ গতিতে চলছে। তবে এফবিআই থেকে আলামতগুলো এখনো পাওয়া যায়নি। সেগুলো পেলে ভালো হতো।’
সম্প্রতি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ‘জড়িত’ কয়েকজন জঙ্গিকে চিহ্নিত ও নাম-পরিচয় পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম। তবে তাদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সংস্থা।
হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর শফিউর রহমান ফারাবী নামে একজনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযোগ ছিল ফারাবী সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকবার অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তবে তার থেকেও উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি পুলিশের।
এ বিষয়ে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ‘তদন্ত চলছে। চিহ্নিতদের নাম-পরিচয় পুলিশের কাছে রয়েছে। একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চলমান রয়েছে।’
এদিকে অভিজিৎ-এর বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় তদন্তের গতি দেখে ‘নাখোশ’ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ ও এফবিআই কেউই মামলার তদন্তের বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করে না। তারা বাংলাদেশে ৫-৭ জন আসামি শনাক্ত করেছে তবে তারা এখনো গ্রেফতার হয়নি। হয়তো পুলিশ তথ্য আলামত নিয়ে আরো বেশি যাচাই বাছাই করছে। তবে অভিজিৎ-এর স্ত্রী রাফিদা আহমেদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে উল্লেখ করে অজয় রায় জানান, রাফিদার সঙ্গে ই-মেইলে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তবে অভিজিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমি তার সঙ্গে এখন কোন আলোচনা করি না।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির