অভিজিৎ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি এলাকা

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫ সময়ঃ ৩:২৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:৩০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম

full_841096925_1425022366লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিলিত হয়েছেন ছাত্র-শিক্ষক, সাংস্কৃতিক-মানবধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা।

তারা এ হত্যাকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তারা এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ভাইভার, মোবাইল ফোনে কথা বললে সরকার জানতে পারে। কিন্তু গত এক বছর ধরে ফেসবুকে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনা সরকারের নজরে আসেনি তা হতে পারে না। এ ছাড়া যেখানে হত্যা করা হয়েছে তার চারপাশে পুলিশের অবস্থান ছিল। ২০০ গজ দূরেই ছিল শাহবাগ থানা। হত্যাকাণ্ডে সময় পুলিশের কি কাজ ছিল এর জবাব পুলিশকে দিতে হবে। গোয়েন্দাদের জবাব দিতে হবে।

বক্তারা অবিলম্বে অভিজিৎ হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডে জন্য তারা ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ি করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া, সাংবাদিক কামাল লোহানী, লেখক ও কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রাণা দাশ গুপ্ত, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, হামিদা হোসেনসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতারা।

এছাড়া শাহবাগে ইমরান এইচ সরকারের নেত্তৃতে একদল অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার রাত দশটায় অরিজিতের মৃত্যুর খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা জগন্নাথ হল থেকে একটি মিছিল বের করে টিএসসি, শহীদ মিনার হয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে দুবৃত্তরা। এতে অভিজিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং তার স্ত্রীর বাম হাতের একটি আঙ্গুল কেটে যায় ও মাথায় চাপাতির কোপ লাগে। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার সময় দায়িত্বরত সিকিৎসক অভিজিতকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিজিত মুক্ত মনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন এবং সমকামিতা নামক একটি বইয়ের লেখক ছিলেন। এছাড়াও তার আরো অনেক বই এবারের একুশে গ্রন্থ মেলায় প্রকাশিত হয়েছে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/রবি

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G