আত্মসমর্পণের পর শ্যামল কান্তি কারাগারে
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এমপি সেলিম ওসমান কর্তৃক লাঞ্ছনার শিকার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কিছুক্ষণ পরই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের এই আদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্যামলকান্তির ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘আজকে যে ঘটনাটি ঘটল, এটি নারায়ণগঞ্জ আদালতের ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই ঘটনায় আমরা আইনজীবী সমাজ ব্যাথিত। শিক্ষক সমাজ লজ্জিত। একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধি চাইলে একজন নিরীহ মানুষকে কীভাবে হয়রানি করতে পারি, নিগৃহীত করতে পারে, তা আবারও প্রমাণিত হল।’
এর আগে ঘুষ গ্রহণের এক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে পুলিশের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করে আদালত।
অবশ্য শ্যামল কান্তি বরাবরই ঐ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
এ বিষয়ে শ্যামল কান্তি বলেন, ‘যে সময় ঘুষ নেয়ার কথা মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে সে সময় স্কুল শীতকালীন ছুটি ছিল। ছুটির দিনে আমি কেন স্কুলে যাব এবং তিনি কীভাবে স্কুলে এসে আমাকে ঘুষ দিলেন?’।
তিনি বলেন, ‘প্রভাবশালী মহলকে খুশি করতেই পুলিশ আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েয়েছেন। এই আদালতেও আমি ন্যায় বিচার পেলাম না ঐ প্রভাবশালীদের কারণেই।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই