আদার গুণাগুণ

প্রকাশঃ মার্চ ১২, ২০১৫ সময়ঃ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ

তাজিন আক্তার, প্রতিক্ষণ ডটকম:

প্রায় ২০০০ বছর আগে থেকে চীনা ভেষজবিদেরা পাকস্থলীর নানা সমস্যায় আদা ব্যবহার করে আসছেন৷ আদার ভেষজ গুণের উল্লেখ রয়েছে আয়ুর্বেদ মেডিসিনে৷ আর বর্তমানের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও আদার বিভিন্ন গুণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷

gingerআদার রসে রয়েছে জিনজেরল নামের রাসায়সিক উপাদান, যা দেহের সিমপ্যাথেটিক সিস্টেমে বিটা এগনিস্ট হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ বন্ধ শ্বাসনালী খুলে দেয়, সাইনাসগুলোকে পরিষ্কার রাখে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে৷

হাঁপানি রোগে ব্যবহৃত বিটা এগনিস্ট ওষুধের প্রায় সমান কার্যকরী এই রস—তা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে৷

এ ছাড়া শোগাওল নামের উপাদান মস্তিষ্কের বিভিন্ন কেন্দ্রের ওপর কাজ করে বমি ভাব বা বমি অনেকটাই কমাতে পারে৷

 

 

 

বিজ্ঞানীরা যেসব সমস্যায় আদার ব্যবহারের সুফল মেনে নিয়েছেন সেগুলো হলো:

ginger 2# যাত্রাকালীন অসুস্থতা বা মোশন সিকনেস কমানো এবং গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেসে দারুণ কাজে আসে আদার রস৷

# এটি পেটের ব্যথা, গ্যাস কমায়, রুচি বাড়াতে সাহায্য করে৷

# এন্টি ইনফ্লামেটেরি গুণ থাকায় বাত ব্যথার রোগীদেরও উপকারে আসে নিয়মিত আদা বা আদার রস সেবন৷ ফিলাডেলফিয়ায় এসিটামিনোফের বা প্যারাসিটামল ও আদার রস পাশাপাশি ব্যবহার করে ব্যথা-বেদনা কমাতে প্রায় সমান কার্যকারিতা পাওয়া গেছে৷

# আদা মাইগ্রেন রোগীদেরও আরাম দিতে পারে৷ আদার রস পাকস্থলীতে মিউকাস আবরণ তৈরিতে সাহায্য করে৷ এ কারণে ভারী খাবারের পর আদা চিবানো একটি প্রাচ্যদেশীয় অভ্যেস৷

#এ ছাড়া এটি অন্ত্রে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের শোষণ বাড়ায়৷

 

 

তাজিন/প্রতিক্ষণ/এডি/আরেফিন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G