আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা

প্রকাশঃ মার্চ ৪, ২০১৫ সময়ঃ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩২ অপরাহ্ণ

আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

khaleda adalotদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরও তিনি আদালতে হাজির হচ্ছেন না।

বুধবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে।

তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যতদূর জানি ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আদালতে আসছেন না।’

অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, খালেদা জিয়ার মামলা বিশেষ আদালত-৩ থেকে অন্য কোনো বিশেষ আদালতে নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে যে রিট করা হয়েছে, তার শুনানির জন্য অপেক্ষায় আছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আজ তিনি আদালতে হাজির হবেন না।

মঙ্গলবার করা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদনটির ওপর আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার আদালত বলেন, ‘যেহেতু সরকার গেজেটের মাধ্যমে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বিশেষ অস্থায়ী আদালতে দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিচারের ব্যবস্থা করেছেন, সেই আদালতেই এ আবেদনের শুনানি হতে হবে।’

মঙ্গলবার সকালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের জন্য এ আদালতে আবেদনটি করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

একইসঙ্গে কোনো আসামি না থাকায় মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের জেরা বাতিল করে ৪ মার্চ দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ মামলার আসামি তারেক রহমানকে হাজির করানোর আবেদন জানান।

তিনি বলেন, ‘অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে চিকিৎসার কথা বলে জামিন নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন তারেক রহমান। এখন তিনি সুস্থ আছেন বলে আমরা জেনেছি। তাই মামলার বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে তাকে আদালতে হাজির করানো প্রয়োজন।’

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াকে ৪ মার্চ অবশ্যই তারেক রহমানকে হাজির করানোর আদেশ দেন আদালত।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার প্রাক্তন সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।

প্রতিক্ষণ /এডি/জামিল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G