আপনাকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখবে ভিটামিন
জীবন বাচাঁতে আর জীবনকে সুস্থ থাকতে কে না চায় ? চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে তা গ্রহন করতে না পারলেই যত সমস্যা। আর পরিমিতভাবে তা দেহ কে সরবরাহ করতে না পারলেও সমস্যা যেন শেষ নেই।
চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট বা সিন্থেটিক ভিটামিন শরীরের উপকারের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিই বেশি করে থাকে৷ তাই শরীরের ভিটামিনের চাহিদা মেটানো উচিত খাদ্যের মাধ্যমে৷
ভিটামিন ‘এ’
সুস্থ অবস্থায় ভিটামিনের কথা তেমনটা না ভাবলেও অসুস্থ হলে ভিটামিনযুক্ত খাবারের প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই৷ এ, বি, সি, ডি, ই এই ভিটামিনগুলোর কথা মাথায় রেখে খাওয়া-দাওয়া করলে সুস্থ থাকা অনেক সহজ৷ ভিটামিন এ রয়েছে মাংসে যথেষ্ট পরিমাণে, বিশেষ করে কলিজাতে৷ তাছাড়া মাছ, দুধ, ডিমের কুসুম, পনির এবং গাজরেও রয়েছে৷ ভালো শুনতে পাওয়া, গন্ধ নেওয়া এবং চোখের জন্য দরকার ভিটামিন এ৷
ভিটামিন ‘বি’
ভিটামিন বি রয়েছে মেশিনে ছাঁটা নয়, ভুষি বা আঁশযুক্ত আটার রুটি মাছ, মাংস এবং সি-ফুডে৷ অনেক ভিটামিনের মতোই ভিটামিন বি শরীর নিজে উৎপাদন করেনা৷ তাই বিভিন্ন খাবার থেকে গ্রহণ করতে হয়, যা কার্ডিওভাসকুলার ও নার্ভ সিস্টেমের জন্য প্রয়োজন৷ সেল বা কোষ বৃদ্ধিতেও প্রভাব ফেলে৷
ভিটামিন ‘সি’
যে ভিটামিনের কথা মুখে মুখেই শোনা যায় তা হচ্ছে ভিটামিন সি৷ যা থাকে লেবুজাতীয় ফল ছাড়াও সবুজ চা, স্ট্রবেরি, টমেটো, ব্রকোলি, ফুলকপি, বিভিন্ন ফল ও সবজিতে৷ ভিটামিন সি-এর অভাবে মানুষ ক্লান্ত বোধ করে, ত্বকের সমস্যা হতে পারে৷ সাপ্লিমেন্ট বা সিন্থেটিক ‘সি’ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, এতে নষ্ট হতে পারে শরীরে অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ লবণের ভারসাম্য৷
ভিটামিন ‘ডি’
একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ২০ মিনিট মুখন্ডল এবং হাতে দিনের আলোই যথেষ্ট৷ হাড় এবং দাঁতের জন্য ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন, বিশেষ করে শিশুদের হাড় গঠনের জন্য আর বড়দের হাড় শক্ত রাখার জন্য৷ যে একদমই সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকে বা পায়না, তার হাড় দিনদিন ক্ষয় হয়ে যেতে পারে৷
ভিটামিন ‘ই’
শাকপাতা ও শস্যদানার মতো অনেক খাবারেই ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে৷ ভিটামিন ‘ই’ শরীরের অনেকদিন সঞ্চিত থাকতে পারে৷ এই ভিটামিন শরীরের কোষ এবং ধমনি ঠিক রাখতে ভূমিকা পালন করে৷ আঁশযুক্ত খাবার, উদ্ভিজ্জ তেল, বাদাম ইত্যাদিতে রয়েছে যথেষ্ট ভিটামিন ই৷
প্রতিক্ষণ/এডি/নূর