আলামত নেই ধর্ষণ, শ্বাসরোধ, কীটনাশকের
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে হত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, তনুকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি, কীটনাশক প্রয়োগ কিংবা শ্বাস রোধ করেও হত্যা করা হয়নি। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ২১ মার্চ তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে তা পাঠানো হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন গতকাল রোববার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। বাবা ইয়ার হোসেনের চাকরিসূত্রে তনুর পরিবার সেনানিবাস এলাকায় থাকত।
কামদা প্রসাদ সাহা জানিয়েছেন, তনু হত্যা মামলার প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের সঠিক কোনো কারণ সম্পর্কে বলা হয়নি। প্রথম প্রতিবেদনে ধর্ষণ কিংবা কিটনাশক প্রয়োগ কিংবা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার কোনো আলামত খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভিসেরা প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরো কিছু পরীক্ষা বাকি রয়েছে। সব হাতে এসে পৌঁছালে পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
তনু হত্যার বিষয়টি এখন তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে এ মামলার তদন্তভার ছিল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হাতে। ডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ তনুর লাশ উত্তোলন করা হয়।
=========