আলোর দিশারি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল
রাজীব মীর
ড. জাফর ইকবালকে নিয়ে তখনও হৈ চৈ শুরু হয়নি। হুমায়ূন আহমেদ ঝড়ো জনপ্রিয়,উপন্যাসের মতই মনের বিন্যাসে তিনি ঘুরেন ফিরেন ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ার সময়ে ড. সেলিম আহমেদ নামে একজন অসাধারণ ব্যক্তি আমাদের প্রথম বর্ষের টিউটোরিয়াল শিক্ষক ছিলেন।তিনি আমাকে আনন্দে থাকতেও শিখিয়েছিলেন। বলেছিলেন ‘কাঁদো নদী কাঁদো’,আর কত ! তাঁর চেয়ে জাফর ইকবাল পড়ো। দীপু নম্বর টু বা সায়েন্স ফিকশনের অন্য হাজার রকম গুরুত্ব আছে।কাউকে ছোট করার জন্য নয়,জাফর ইকবালের ভিন্নতা ও অনন্যতাকে নির্দেশ করার জন্য প্রসঙ্গটা টানলাম। ব্যক্তি জাফর ইকবাল আমেরিকায় থাকতে পারতেন,দেশের মায়ায়- ভালোবাসায় পড়ে আছেন, সে গল্প পুরোনো।প্রথম আলোর গণিত অলিম্পিয়াড জাফর স্যার ও কায়কোবাদ স্যারের প্রত্যক্ষ অবদানে ভরপুর, বাচ্চাদের জন্য স্যারের লেখা যত আছে, লেখার মন আছে তার চেয়ে হাজারগুন বেশি-এটা সহজেই অনুমেয়। মোদ্দাকথা, স্যার লেখক হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন।প্রথম আলো হয়ত স্যারকে লেখক হিসেবে জনপ্রিয় করার পিছনে দারুন ভূমিকা রেখেছে, বিতর্কের এদিকটাও অস্বীকার করছি না। কিন্তু স্যার এখনও কলাম লিখছেন, লিখতে পারেন বলেই লেখেন। ক্ষমতাটা আছে। তাঁর সমালোচকদের হয়ত স্যারকে নিয়ে লেখার হাত ভালো, কিন্তু স্যারের হাত পাঠকের জন্য- সহজ, সরল, প্রাণবন্ত। যা জানেন তা যতটা লেখেন, তার চেয়ে যা বোঝেন সাহসী মনে তার চেয়ে বেশি লেখেন। সমাজবাদীরা স্যারের কিছুটা ক্যাপিটালিস্ট আর অতি জাতীয়তাবাদী মনোভাব বিষয়ে বিরক্ত থাকেন, সমালোচনাও করেন।কিন্তু আমার মনে আছে শাহবাগ বিষয়ে এক এক করে সকলেই যখন দ্বিধায় ভুগেছেন, পিছপা হয়েছেন-স্যার সামনেই ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকে নতুন প্রজন্ম তাঁর লেখায় বারবার পেয়েছে, দিক ভুল হয় নাই।সিলেটের বিশ্ববিদ্যালয় ,হযরত শাহজালালের নামে হয়েছে এটা ঠিক। পরের যে নামটি হয়েছে, জনগণ মনে রেখেছে,সেটি তাঁর। ওখানকার ভিসির নামটি যেন কি, নিশ্চয়ই মর্যাদাশীল ও জ্ঞানী কেউ হবেন কিন্তু দু:খিত, সেটা বলবার জন্য ওখানকার ডায়েরি খুঁজতে হবে, আমার ঠিক মনে পড়ছেনা। এই যে এক কথায় একজন শিক্ষক সারা দেশে পরিচিত, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য কত বড় প্রাপ্তি -বুঝতে বেশি পন্ডিত হতে হয় না।কিন্তু বাংলাদেশের বড় দুর্ভাগ্য যে পোড়ার দেশে কোনও বিশাল গাছই ডালপালা সমেত দাঁড়াতে পারে না,টিকতে দেয়া হয় না।
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি।শৈশবে বাবার মুখে গল্প শুনেছি,পরে পড়েছি,জেনেছি।তখন সেটা আর গল্প নেই,রক্তে মিশে গিয়েছে। শিরা কাঁপিয়েছে।জাহানারা ইমাম,আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী,এম আর আখতার মুকুল ,মেজর রফিক কত শত প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লেখক। এমনকি মওদুদ আহমেদের বই পড়েও শেখ মুজিবের জন্য চোখ মুছেছি।বিশ্ববিদ্যালয় যে শুধু বই পড়ার জায়গা নয়,সেটা বুঝার জন্য একটি ছোট উদাহরণ দিচ্ছি। শামসুল ইসলাম নামে আমাদের একজন খুবই লক্ষী স্যার ছিলেন,সমসাময়িক বৈশ্বিক বিষয়াবলী পড়াতেন। ক্লাশ চলছে,হঠাৎ পিছনে ফোঁসফোঁস শব্দ।ঘুরে তাকালাম,একটি ছেলে কাঁদছে। স্যার জানতে চাইলো,কি হয়েছে? আমরাও অবাক..কিন্তু সে কেঁদেই চলেছে। শেষে যা শুনলাম,পুরো ক্লাশ থ,আমিও কেঁদে দিয়েছিলাম। স্যার নাকি পড়ানোর সময় শেখ মুজিব বলেছেন,বঙ্গবন্ধু বলেন নাই।এটা তখন মামুন অর রশীদ নামে আমার বন্ধুটির অনুভ’তিতে লেগেছে,সে নিতে পারে নাই,অঝোরে কেঁদেছে।প্রাণে কি রকম দোলা দিতে সক্ষম হলে একজন মানুষ তাঁর মৃত্যুর অনেক পরেও এরকম বুক কাঁপিয়ে অবস্থান নিতে পারেন,বঙ্গবন্ধু তাঁর উজ্জলতম নিদর্শন।কিন্তু তাঁকে নিয়েও সমালোচনা কম হয় নাই,এখনও চলছে।শিক্ষামূলক সমালোচনা হতেই পারে,কিন্তু ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষ পোষণ করা বা হেয় করার যে ঘৃন্য প্রদর্শন,সেটা কখনই কাম্য নয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানও সংঘবদ্ধ বিরোধীদের হঠকারিতা ও জঘন্যতায় অল্প সময়ের জন্য শারিরীক অস্ত গিয়েছিলেন,যদিওরেখে গিয়েছেন অসংখ্য সূর্য সন্তান।
মাওলানা ভাসানী,তাজউদ্দিন আহমেদ তাঁদের আত্মত্যাগের তুলনায় দেশের ইতিহাস বইয়ে সেভাবে নেই,যতটা থাকা উচিত।সাম্প্রতিক ড. মুহম্মদ ইউনূসও বিতর্কের মুখে পড়েছেন,সামলাতে চেষ্টা করেছেন,পারেন নি।তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন,গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন।সারা বিশ্বে হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছেন,বাংলাদেশে শুকনো মুখে কথা বলছেন,হাসতে ভুলে গেছেন।সামাজিক ব্যবসার নামে শক্তি দই বিক্রি করবার কথা মুখে মুখে।ড. কামাল বিশাল আইনজ্ঞ,দেশের সংবিধান প্রণেতাদের একজন ।মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন,সুখ্যাতি আছে।কিন্তু জনমানুষের আস্থা নাই,ভোটে দাঁড়ালে হারেন।আহমদ ছফা শিরদাঁড়া সোজা একজন শক্তিমান লেখক। তাঁর বিরুদ্ধে অপবাদ ছিলো তিনি লিবিয়ার দালাল।হুমায়ূন আজাদ,ভাষা বিজ্ঞানী ও ভিন্ন চিন্তার লেখক।তাঁর লেখা পড়া যাবে না,সে নাস্তিক।তাঁকে কুপিয়ে মারার চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়েছিলো।ড. মো: আনোয়ার হোসেন,তত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেনা অত্যাচার সয়েছেন,জেল খেটেছেন।পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভিসি হিসেবে টিকতে পারেন নি। তিনি বাইরের থেকে এসেছেন,তিনি জাসদ করেছেন ইত্যাদি ।ড. আরেফীন সিদ্দিক খুব ভালোভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন।তিনি ব্যালেন্স করছেন,বিরোধী মত প্রশ্রয় দিচ্ছেন ইত্যাদি।দেশের বাইরে প্রবাসীদের আড্ডায় রাজনীতির বাইরেএখনও যে নাম উঠে আসে সেটি হলো- তসলিমা নাসরীন।বাংলাদেশে নারী জাগরণের সম্মুখসারির লেখক,ভীষণ সাহস নিয়ে বলেন,লেখেন। তাঁর চরিত্র ভালো না,বিতর্কিত লেখক,দেশে আসুক এসব।সাম্প্রতিক গণজাগরণ মঞ্চের ইমরান এইচ সরকার ,সাহসী সংগঠক। তাঁর দাদা রাজাকার ছিলো,সে মঞ্চের নামে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছে আরও কত ক্।িএমনকি সরকার পক্ষের লোকজন তাঁেক মারপিটও করেছে।এরকমভাবে দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ব্যক্তি,শিক্ষক,লেখক,সাহিত্যিক,রাজনীতিক,ব্যবসায়ী,সেনা কর্মকর্তাদের বিষয়ে অপবাদ,বদনাম ও গীবত এর ফিরিস্তি দিলে শত শত গবেষণা বই প্রকাশ করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হলো সব বিষয়েই আমরা প্রশ্ন তুলবো কি না ! কেউ অন্যায় করলে সে যত বড়ই হোক সংবিধানমতে সে আইনের উর্ধ্ধে নয়।আইন সবার জন্য সমান। আমরা তাহলে কাউকেই বিনা প্রশ্নে ছাড় দেব না। কিন্তু কথা হলো এই ছাড় দেয়া বা না দেয়ার বিষয়গুলো কিভাবে মোকাবেলা করবো?কোন বিষয়ে কেমন করে কতটুকু বলবো,কীভাবে বলবো ? ভারতে গান্ধীর সমালোচনা নেই তা বলবো না।কিন্তু কাদা ছোড়াছুড়ি কতটা ! একদমই নয়।তাই একাডেমিক সমালোচনার ক্ষেত্র ছেড়ে বেয়াদবী আচরণমূলক স্টাটাস,বক্তব্য দিতে থাকলে বন বাছতে গা উজার করা কতটা সমীচীন হবে,ভেবে দেখতে হবে।একটা দেশ সামনে চলতে গেলে আদর্শ লাগবে তো! যে সকল ব্যক্তিবর্গ আদর্শের একটা জায়গা তৈরি করেছেন,তাদেরকে বিকশিত হতে দিতে হবে।গোটা জাতি কাদেরকে সামনে রেখে পথ চলবে ! সবাইকে যদি আমরা ক্রমাগত কারণে অকারণে বিতর্কিত করে তুলি,সামনে পথ দেখানোর আস্থাশীল কেউই তো আর থাকবে না। জাতি তো হতাশায় নিমজ্জিত হবে।তখন কি হবে?
একজন ড. আনোয়ার কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারি, নিয়োগ অনিয়ম বা স্বজনপ্রীতি না করার পরও বাইরের শিক্ষক বিবেচনায় তাঁর ভিসি পদ থেকে সরানোর আন্দোলন যেমন অন্যায়, প্রভাবশালী মন্ত্রীদের বাড়ি হওয়ার পরও সিলেটের বাইরের একজন জাফর ইকবালের প্রভাব বলয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে পারবে না,এটা ভাবাও অন্যায়।বাংলাদেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ই আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়,এটাও সকলের মনে রাখতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফরম কিনতে গিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরতে শিক্ষার্থীদের কত হেনস্তা হতে হতো,এখন আর তা হয় না। এ পদ্ধতির প্রবর্তক কোন বিশ্ববিদ্যালয়,মনে আছে?যারা বলছেন,জাফর ইকবাল প্রশাসক হিসেবে ভালো করতেন না,তারা বুঝে বলছেন নাকি না বুঝে বলছেন।তিনি তো সত্যিই ভিসি হতে চাননি।তিনি কিছু নিয়মের প্রতিবাদ করেছেন মাত্র।এ প্রতিবাদ তাঁর একার নয়,সমষ্টির।হতে পারে সেটা আংশিক সমষ্টি।কিন্তু কেন প্রতিবাদ সে ফিরিস্তির শ্বেতপত্রও তো প্রকাশিত হয়েছে।কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্যত্র। স্যার কি জানেন না যে, যেই দল ক্ষমতায় থাকেন তাদের অনুগতদের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বানানো হয়! সেটা কেন হয়, নিশ্চয়ই সেটাও স্যার জানেন। তাহলে দলপ্রীতি বা স্বজনপ্রীতির অজুহাত তুলে একজন ভিসির অপসারণের চেয়েও তাঁকে যে প্রক্রিয়ায় যারা ভিসি পদে নিযোগ দেন,সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্যার কেন প্রশ্ন তুলছেন না !গদি টিকাতে গিয়ে অন্যায় করার ও অন্যায় আবদার সহ্য করার হজমশক্তি কত তীব্র হলে বাংলাদেশে একজন ভিসি হিসেবে টিকতে পারেন,এটা তো ওপেন সেক্রেট । ব্যতিক্রম নেই তা বলবো না কিন্তু সেটা তো আর উদাহরণ নয়।
এখন যে প্রশ্নে বাংলাদেশ উত্তাল সেটা হলো শিক্ষকগণ অসম্মাণিত ও অপমানিত হওয়ার পরও ড. জাফর ইকবাল স্যার ছাত্রলীগকে প্রশ্নহীন ছাড়পত্র দিয়েছেন,এটা ঠিক হয়নি। সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দকে লাঞ্চিতকারী শিক্ষার্থীবৃন্দের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন,কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষও কয়েকজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন,যেখানে ছাত্রলীগের কর্মীবৃন্দ আছেন।তাহলে ড. জাফর ইকবাল কি ক্ষমতার কাছে হারলেন নাকি সমঝোতা করলেন,এই প্রশ্নের সম্মূখীন আমরা সবাই । শিক্ষকদের অপমান অপদস্থ করারর জন্য দায়ী সকল সন্ত্রাসের বিরোধীতা করে যারা স্যারের পক্ষ নিয়ে মতামত প্রকাশ করেছিলেন,তাঁরা অনেকেই এখন বেশ বিরক্ত।।এখানে আমার ব্যাখ্যা খুবই সহজ। বাংলাদেশের শীর্ষ প্রশাসন তথা সরকার প্রধান এখন একটু ভিন্ন ধাঁচে দেশ পরিচালনা করছেন। অপরাধ ও অন্যায় যে বা যিনিই করছেন,নিজ দলের হলেও ছাড় না দেয়ার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন,সেমতে কাজও করছেন।ছাত্রলীগও রেহাই পাচ্ছে না। ড. জাফর ইকবাল নিজেইএকটা একাডেমিক প্রতিষ্ঠান। ছাত্রলীগ একটা বিশাল রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন।দেশের নানা ক্রান্তিকালে ছাত্রলীগের ভুমিকাও প্রশ্নাতীত।কোনও প্রতিষ্ঠানের অপমান হউক,কেউই সেটা চায়না।ছাত্রলীগের কয়েকজনের বহিস্কারাদেশ,পরোক্ষে সরকারের ভাবমূতি বৃদ্ধিতে সহায়ক,এটা ঠিক। কিন্তু যে ভিসিকে সরানোর জন্য ড. জাফর স্যারদের আন্দোলন,সেটা নিয়ে সরকার কোনও কথাই বলছে না-এটাও ঠিক।যারা জাফর স্যারকে ভুল বুঝেছেন,তাদের উদ্দেশে বলবো-স্যার শুধু সেদিকেই আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন,যেদিকে আপনারা তাকান নি। ছাত্ররা কখনওই শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে সাহস পেত না,কতিপয় শিক্ষকের প্রত্যক্ষ মদদ এখানে ছিলো বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।ভিসি সরানো আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলেও সমালোচকদের লেখায় ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ করে দেশের মানুষের কাছে আওয়ামীলীগকে ঘাটানোর অপচেষ্টা ছিলো বেশি ! তাহলে তো আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই বেহাত হয়ে যায়,মাননীয় ভিসি দৃষ্টির আড়ালে এসি রুমে বসে টিভিতে আনন্দে এসব দেখতে দেখতে সুখ নিদ্রা যান !সরকারের লোকজন কেউ কেউ সেটা হতে দিতে চান কি না কে জানে?আন্দোলনকারি শিক্ষকগণ নিশ্চয়ই সেটা চাইবেন না ! স্যার ও নিশ্চয়ই সেটা চাননি।
তাই ‘ওরা তো বাচ্চা,মিসগাইডেড হয়েছে’– সিলেট, হযরত শাহজালাল (রহঃ) বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারি শিক্ষকদের সমর্থক হিসেবে ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের এ কৌশুলী বক্তব্যকেওবিতর্কিত করবেন না,প্লিজ ! অভিমান করে যদি একজন জাফর ইকবাল থেমে যান বা অযথা সমালোচনা করেআমরা তাঁকে থামতে বাধ্য করি,মুক্তিযুদ্ধের সোনালী ফসল সোনার বাংলাদেশে কিন্তু জাফর ইকবালদের স্থলে মীর জাফররা ছড়ি ঘুরাবে–সেটা কি দেশের জন্য খুব একটা ভালো হবে ?
রাজীব মীর
সহযোগী অধ্যাপক
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ই মেইল[email protected]
এই লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজের। এখানে প্রতিক্ষণ ডট কমের কোন নিজস্ব বক্তব্য নেই
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে