আসছে শীতে হুমকির মুখে ইউরোপিয়ানরা
আন্তর্জাতিকে ডেস্ক
ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সৈন্যরা প্রবেশের মুহূর্ত থেকে এখন অবদি ইউরোপীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যফ্রন্ট তৈরি করে বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু ২৫০ দিনেরও বেশি সময় পর শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। ইউরোপীয় নেতাদের দৃঢ় মনোভাব দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব জনসাধারণের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
একই সময়ে, বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন আগামী সপ্তাহের আমেরিকান মধ্যবর্তী নির্বাচনে সমালোচনামূলক বিজয় হলে ইইক্রেনের প্রতি পশ্চিমের কট্টর সমর্থনকে ভেঙে যেতে পারে।অন্যদিকে, মস্কো তার জ্বালানি শক্তি গুলিকে মুঠোবন্দি করেছে। যার উপর ইউরোপ ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।
যেহেতু তারা রাশিয়ান গ্যাস বন্ধ করেছে, ইউরোপীয় দেশগুলি বিকল্প এবং শক্তি-সঞ্চয়ের কৌশলগুলি খুঁজতে ছুটছে। জার্মানি তার পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করা স্থগিত করেছে। চেক সরকার তার অফিসে পুরানো লাইটবাল্বগুলিকে বদলে কম খরচের এলইডি লাইট লাগিয়েছে।
ইতালীয়রা থার্মোস্ট্যাট ১৯ সেলসিয়াস (৬৬ ফারেনহাইট) এ নেমে এসেছে। সরকারী তরফ থেকে কম তাপে রান্না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লুই ভিটনের মূল সংস্থা এলভিএমএইচ বলেছে, দোকানে লাইট আগে বন্ধ করা হবে, ভ্যালেন্টিনো এবং অন্যান্য বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলি সে পথ অনুসরণ করবে।
ইউরোপীয় দেশগুলিও নভেম্বরে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে বঞ্চিত হবে। তবুও সামনের শীতল মাসগুলি পুতিনের জন্য পরোক্ষভাবে অস্থির একটি সময়। ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপের সমর্থন শীতেও বহাল থাকে কি-না সেটাই দেখতে চান পুতিন। হয়তো আসছে শীতে পুতিনের পক্ষথেকে কঠিন শর্ত দিতে পারে ইউরোপিয়ানদের।
সূত্র : আল-জাজিরা