ইউনিফর্মের আড়ালে অপরাধ করলে ছাড় নেই: ডিএমপি কমিশনার
বিশেষ প্রতিবেদন
‘কনস্টেবল থেকে আইজিপি সবাই পুলিশ। সকলে একটি পরিবার। শরীরের কোনও অঙ্গে আঘাত পেলে যেমন পুরো শরীরটা কষ্ট পায় তেমনি কনস্টেবলের গায়ে আঘাত লাগলে সেটা কমিশনারের গায়ে লাগে। পুলিশের ইজ্জত রক্ষা করতে হবে; ইউনিফর্মের সম্মান রক্ষা করতে হবে। তবে ইউনিফর্মের আড়ালে অপরাধে করলে ছাড় দেওয়া হবে না’- কথা গুলো বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পুলিশ লাইন্সে সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আজ রবিবার সকালে এক বিশেষ কল্যাণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ডিএমপির কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এই প্রথম কোনও সভায় অংশ নেন তিনি।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ফোর্সের মানসিক শক্তি ও ইচ্ছা থাকলে অজেয়কে জয় করা সম্ভব। এজন্য ফোর্সের সঙ্গে কখনও সন্তান, কখনও ভাই, কখনও বন্ধুর মতো মিশতে হবে। তাদের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আবার দায়িত্ব পালনের সময় কমান্ডারের অবস্থানটা ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কখনও ব্যর্থ হয় না। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধকারীর গৌরবময় অংশীদার পুলিশ। সেই ৭১ থেকে আজ পর্যন্ত যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হতে দেয়নি। ১৩/১৪ সালের অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, জঙ্গি বা কোভিডের মতো প্রাকৃতিক মহামারি কোনও কিছুই পুলিশের মনোবলে চিড় ধরাতে পারেনি। সরকার যখন যে দায়িত্ব প্রদান করেছে তা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সফলতার সঙ্গে পালন করেছে এবং আগামীতেও করবে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (পিওএম-দক্ষিণ) মোহাম্মদ মতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনাররাসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।