ইউরোপের সেরা সাতটি রেল স্টেশন

প্রকাশঃ আগস্ট ২৩, ২০১৫ সময়ঃ ২:৪০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৪৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউরোপ ট্রেন চলাচলের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ইউরোপকে ঘুরে দেখার জন্য যদি রেলপথ বেছে নিতে চান, তাহলে কোন ট্রেন স্টেশনগুলো বেছে নিবেন সেটি একটি বিষয়ে। কারন এগুলো এতো সুন্দর যে আপনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন। তাই আজ আপনাদের জন্য থাকছে ইউরোপের সেরা সাতটি স্টেশনের বর্ণণা৷

বেলজিয়ামের সেরা :

antwerp_central

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ট্রেন স্টেশনের তালিকা করলে সেখানে ‘অ্যান্টওয়ার্পের কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন’কে রাখতেই হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রের নিউজউইক ম্যাগাজিন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ট্রেন স্টেশনগুলোর একটা তালিকা করেছিল৷ সেই তালিকায় চতুর্থ স্থান পেয়েছিল এই স্টেশনটি৷ অ্যান্টওয়ার্পের এই স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৮৯৫ সালে, কাজ শেষ হয় ১৯০৫ সালে৷

‘কাঁচমহল’ :

kachmohol

‘বার্লিন হাউপ্টবানহফ’। বার্লিনের প্রধান রেল স্টেশনটি কাঁচের তৈরি৷ একসময় এখানেই ছিল বার্লিন লেয়ারটার বানহফ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেটা প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়৷ ২০০৫ সালে সেখানে গড়ে তোলা হয় বার্লিন হাউপ্টবানহফ৷ স্টেশনটি রাজধানীতে হলে কী হবে, বার্লিন হপ্টবানহফ কিন্তু জার্মানির সবচেয়ে ব্যস্ত ট্রেন স্টেশন নয়।

জার্মানির ব্যস্ততম স্টেশন :

humburga

জার্মানির সবচেয়ে ব্যস্ত ট্রেন স্টেশন হামবুর্গে৷ হামবুর্গ হাউপ্টবানহফ৷ প্রতিদিন অন্তত সাড়ে চার লাখ মানুষ এই স্টেশন থেকে যাতায়াত করেন৷ হামবুর্গ হাউপ্টবানহফ ইউরোপের দ্বিতীয় ব্যস্ততম ট্রেন স্টেশন৷ এখান থেকে দ্রুতগামী ট্রেনে চড়ে যাত্রীরা সোজা চলে যেতে পারেন কোপেনহেগেন৷ এভাবেই ডেনমার্কের সঙ্গে সেন্ট্রাল ইউরোপের সংযোগ রক্ষা করে হামবুর্গ৷

ইউরোপের ব্যস্ততম স্টেশন :

gohr the

ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত ট্রেন স্টেশন ‘গার দু নর্ড’৷ প্যারিসের এই স্টেশন থেকে প্রতি বছর অন্তত ১৯ কোটি মানুষ ফ্রান্স এবং ফ্রান্সের বাইরের বিভিন্ন স্থানে যায়৷ বেলজিয়াম, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস আর ইংল্যান্ডে যাওয়া যায় এখান থেকে৷ গার দু নর্ড শুধু ইউরোপের ব্যস্ততমই নয়, বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম স্টেশনও এটি৷ বিশ্বের ব্যস্ততম স্টেশনটি রয়েছে জাপানে৷

লন্ডনের সেইন্ট প্যানক্রাস স্টেশন :

saint pranks

ইউরোপের ব্যস্ততম ট্রেন স্টেশন থেকে চলে যেতে পারেন ইউরোপের বাণিজ্যিক কেন্দ্র লন্ডনে৷ সেখানে ১৮৬৮ সাল থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে সেইন্ট প্যানক্রাস স্টেশন৷ সে আমলে স্টেশনটি অবশ্য এমন ছিল না৷ তখনকার নিউ-গথিক স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্তমান কাঠামোটি দাঁড় করাতে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়৷

আইফেলের আরেক অনন্য সৃষ্টি :

iefal

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের সঙ্গে বুদাপেস্ট ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে স্টেশনের একটা মিল আছে৷ দুটিরই ডিজাইনার এক৷ হাঙ্গেরির রাজধানী শহরের এই ট্রেন স্টেশনটিও নির্মাণ করেছে আইফেল কোম্পানি৷

ক্রোয়েশিয়ার প্রাণকেন্দ্রে :

ifeal

ইউরোপে এলে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের প্রধান স্টেশন দেখে যেতে ভুলবেন না৷ স্টেশনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল ১৮৯২ সালে৷ এত প্রাচীন, এত সুন্দর একটা ট্রেন স্টেশন দেখার জন্য সে সময়টা বের করে নিতে হবে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এমএস

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G