জঙ্গী নেত্রী খালেদার বিচার হবে

প্রকাশঃ মার্চ ৭, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৫০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

pm22আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “মানুষের রক্ত নিয়ে যারা খেলছে তাদের শাস্তি হবেই হবে। জঙ্গি সন্ত্রীদের কোনো ক্ষমা নেই।”

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পরাজিত ইয়াহিয়ার চামচারা দেশের মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় মানুষের উপর হামলা হচ্ছে। পরাজিত ইয়াহিয়ার চামচারা এই হামলা করছে। এরা কারা আপনারা জানেন।’

তিনি বলেন, ‘শুধু দুর্নীতি মামলায়ই নয়, উনার বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। তাদের কোনো ক্ষমা নেই। এদেশের মাটিতেই তার বিচার হবে। জঙ্গিবাদ আমরা মেনে নেবো না। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে শাস্তি পেতেই হবেই। জঙ্গি নেত্রীর বিচার হবেই হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) নিজেকে নিজেই অন্তরীণ করে রেখেছেন। নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দেন। পুলিশ দিলে বলেন আমাকে পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আর পুলিশ সরিয়ে দিলে বলে আমার নিরাপত্তা নেই। তাহলে আমরা যাবো কোথায়?

তিনি বলেন, ‘উনার প্রিয় মঈনুদ্দীন, ফখরুদ্দীন উনার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। উনি ইয়াতিমদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। উনি যদি নিজেকে সৎ মনে করেন তাহলে উনি কেন কোর্টে গিয়ে মামলা মোকাবেলা করছেন না। আসলে উনি নিজেই জানেন কিভাবে দুর্নীতি করে টাকা কামিয়েছেন। কথায় বলে- চোরের মন পুলিশ পুলিশ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কিছু মানুষ আছে যারা বোমা হামলা করছে তাদের চোখে দেখেন না। অন্তঃসত্ত্বার উপর বোমা, কলেজ ছাত্রীর ওপর হামলা, নিউমার্কেট শাখা ছাত্রদলের নেতা নিজেই নিজের বোমায় মারা গেছেন। কিন্তু উনারা দেখেন না। চোখ থাকিতে অন্ধ।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশে তো ভাওতাবাজি করছেই। বিদেশের মাটিতেও ভাওতাবাজি করছে। আমেরিকায় এফবিআইকে টাকা দিয়ে জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে সেখানে বিএনপি নেতার ছেলে ধরা খেয়েছে। সেই কোর্টেই শাস্তি পেয়েছে বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আজকে বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণে পরিণত হয়েছে। অথচ আমার দুঃখ হয়। এই ভাষণ ২১ বছর বাংলার মাটিতে নিষিদ্ধ ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যখন শান্তিতে থাকে তখন ওই জঙ্গি নেত্রীর শরীর আগুনে জ্বলে উঠে। ঘর ছেড়ে অফিসে বসে থাকায় কী মাজেজা তা আমার বুঝে আসে না। কিন্তু উনি ওখানে বসে ড্রাইভার, হেলপারসহ সাধারণ মানুষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারছে। উনি ৬২ দিন অবরোধ দিচ্ছেন। দফায় দফায় হরতাল দিচ্ছেন। কিন্তু আমি বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ মানুষ তাদের কর্মসূচিতে সাড়া দেয়নি।

শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেন,  ২১ বছর মানুষ স্বাধীনতার ইতিহাস উচ্চারণ করতে পারেনি। ২১ বছর বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে দেয়া হয়নি। কিন্তু কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না। তা আজকে সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে।

তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। আইভি রহমানকে হত্যা করলো। আমি নাকি নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে গেছি। মিথ্যা বলা তাদের চিরাচরিত অভ্যাস।

প্রতিক্ষণ /এডি/আরিফ

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G