ঈদ ফ্যাশনে ছেলেদের টুপি ও আতর
ফারজানা ওয়াহিদ
ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। ঈদের কেনাকাটা প্রায় শেষের দিকে। এখন বাকি টুকিটাকি কিছু প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ।
ঈদে ছেলেদের অন্যতম অনুষঙ্গই হোল টুপি ও আতর। ঈদের নামাজের জন্য এসব অনুষঙ্গ যেমন প্রয়োজন, তেমনি এসব ছাড়া ঈদের নামাজের পরিপূর্ণতাও অনেকটা না হওয়ার মতো। আর সেজন্য ঈদের বাজারে এখন ভিড়টা বেশি দেখা যাচ্ছে টুপি ও আতরের দোকানগুলোতে। এই কেনাকাটা চলবে ঈদের দিন নামাজের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। জমে উঠেছে দোকানদারদের ব্যবসা-বাণিজ্যও।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, জিপিও সংলগ্ন ফুটপাথ, গুলিস্তান, নিউ মার্কেট, চকবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরলে দেখা যাবে, দারুণ ভাবে জমে উঠেছে টুপি ও আতরের বেচাকেনা। এসব পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ও পরে।
আকর্ষণীয় নক্সা আর নানা কারুকার্যে সুসজ্জিত টুপির প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ বেশি। দোকানিরা জানান, নক্সা ও কারুকার্যের মান ভাল হওয়ায় এবার বিদেশী টুপির চেয়ে দেশী টুপি বেশি কিনছেন ক্রেতারা।
টুপির দাম এক একটার এক এক রকমের। গোল হাজি টুপি ৫০ থেকে ২০০ টাকা, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কিস্তি টুপি এবং ওমানি টুপি ১০০ থেকে ৪০০ টাকা। পাকিস্তানী সুলতানী টুপি ২০০ টাকা। ক্রস কাঁটায় হাতে বোনা সুতার টুপি ৫০ টাকা। পাকিস্তানী জিন্নাহ টুপি ২০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। বাচ্চাদের জরির কাজ করা তুর্কি টুপির দাম ৫০ টাকা। সর্বনিম্ন ১০ টাকায় পাওয়া যাবে পাতলা নেটের টুপি।
ঈদের দিন বিশেষ দিন। আর ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আতর ব্যবহার করা সুন্নত। এ কারণেই আতর ব্যবহার করেন ছেলেরা। আতর আছে হরেক রকমের। সাত হাজার টাকা আউন্সের উদ আতর থেকে ১০০ টাকার জুঁই, বেলি, জান্নাতুল মাওয়া পর্যন্ত। এছাড়াও দেশী শাহী দরবার আতর ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, রজনীগন্ধা ৪০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টুপির পাশাপাশি আতরের দামও এক এক ধরণের। দামী আতরের মধ্যে আছে ছয় হাজার টাকা আউন্সের খস, সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার হোয়াইট উড, তিন হাজার টাকার আলবে জোহরা, দুই হাজার টাকার জান্নাতুল নাঈম ইত্যাদি। দেশের তৈরি আতরের মধ্যে রয়েছে আলিফ, মারজান, বিলকিস, জেসমিন, রজনী, মদিনা এসব। এই আতরগুলোর দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে