আপনি কি জানেন, গেল বছরে বাংলাদেশ থেকে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার সাফল্যের হার কত ছিল? কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফুজি এবং সিটিজেনশিপ IRCC(EDW) তথ্য মতে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত থেকে সর্বোচ্চ ৬৮% ভিসা সাকসেস রেট হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শতকরা ভিসার হারও নেহায়েত কম নয় বরং এটি বেশ ঈর্ষনীয়। শতকরা হিসাবে ১০০ জনের মধ্যে ৪৬ জন ভিসা প্রত্যাখ্যান হলেও ৫৪ জন ভিসা পায় যা দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এ হার ছিল ২৪%, নেপাল ১৭% এবং আফগানিস্তান মাত্র ৮%! ভিসা সাকসেস রেটের দিক দিয়ে শতভাগ সাফল্য লাভ করা একমাত্র দেশটি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দেশ কাতার। এক্ষেত্রে জাপানের ভিসার শতকরা হার ছিল ৯৮%, লুক্সেমবার্গ এবং অষ্ট্রিয়ার ভিসার হার ৯৭%, দক্ষিন কোরিয়া ৯৬%, ওমান, মেক্সিকো, সুইডেন, স্পেন, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স এবং বার্বাডোসের ক্ষেত্রে এ ভিসা হার ৯৪%!
কানাডাতে উচ্চ শিক্ষা এবং বাংলাদেশ:
উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশী ছেলেমেয়েদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ হচ্ছে কানাডা। এক্ষেত্রে কানাডার পর অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের কাছে স্বপ্নের দেশ হিসাবে গণ্য করা হলেও বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্বের বিশেষত যারা পড়াশোনা শেষে নিদিষ্ট একটা দেশে অভিবাসী হতে চাই, তাদের জন্য কানাডা হচ্ছে এক অপার সম্ভাবনা। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা, পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ ছাড়াও পড়াশোনা শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিবাসী হবার সুযোগ ছাড়াও আরও নানাবিধ সুজগ-সুবিধার জন্য উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডার রয়েছে বিরাট চাহিদা। চীন, ভারত, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া সহ বিশ্বের সকল প্রান্তের ছাত্রছাত্রীদের কাছে কানাডা হচ্ছে এক অপার সম্ভাবনা। সাম্প্রতিক আমেরিকার অভিবাসী বিরোধী সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতামূলক কর্মসূচী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় কানাডার অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে।
ডিগ্রির ধরন ও ভর্তির সেশন:
পিএইচডি, মাস্টার্স, ব্যাচলার এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রি।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মে পর্যন্ত সেশন থাকে। এ ছাড়া জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল ও জুনেও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন শুরু হয়।
ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:
ব্যাচলার বা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তির জন্য কমপক্ষে ১২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে। মাস্টার্স বা গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির জন্য লাগবে কমপক্ষে ১৬ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৪ বছরের ব্যাচলার ডিগ্রী করা যে কেউ মাস্টার্সে আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করবে যদিও টপ কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে অনেক ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং একাডেমীক যোগ্যতা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রীর প্রয়োজন হতে পারে ।
শিক্ষার মাধ্যমঃ
কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ—এ দুটো ভাষার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্টরা প্রধানত উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে হিসাবে ইংরেজিতে পড়াশোনা করতে যায় এবং পড়াশোনার মাধ্যমে হিসাবে ফ্রেঞ্চকে বেছে নেয়া স্টুডেন্টদের সংখ্যা একেবারে নগণ্য। অবশ্য একজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ- এ দুটোর যেকোনো একটি ভাষা পড়তে পারবেন, বিশেষত আফ্রিকান অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার মাধ্যম হিসাবে ফ্রেঞ্চকে বেছে নেন।
টোফেল বা আইইএলটিএস স্কোরঃ
ইংরেজি ভাষার প্রতিষ্ঠানগুলো ভাষাগত যোগ্যতা হিসেবে টোফেল বা আইইএলটিএস স্কোর বাধ্যতামূলক হলেও ক্ষেত্র বিশেষে (শীর্ষ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে) জিম্যাট ও জিআরই বাধ্যতামূলক। অবশ্য টোফেল বা আইইএলটিএস স্কোর না থাকলেও প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থী কনডিশনাল একসেপ্টেন্স লেটার বা ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন, তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে মূল কোর্স শুরুর পূর্বে ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জনের জন্য ইএসএল ESL (English Second Language) মৌলিক কোর্স করতে হবে। সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে টোফেল বা আইইএলটিএস স্কোর না থাকলে কনডিশনাল একসেপ্টেন্স লেটার সহ ইএসএল (ESL) কোর্সের ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব। তবে, এ কথা তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়, যাদের বাবা-মা’র ব্যাংকে রয়েছে ট্যাক্স পরিশোধ্য প্রচুর টাকা।
টিউশন ফি:
কানাডার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একই রকম হয় না। অঞ্চল ও পড়ানোর প্রোগ্রামভেদে টিউশন ফিও ভিন্ন ভিন্ন হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর টিউশন ফি বেশি হয়। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য খরচ পড়বে ১২ থেকে ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার।
হোস্টেল এবং আবাসন ব্যবস্থা:
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রথম ছয় মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকতে হয়। পরে তাঁরা ইচ্ছা করলে ক্যাম্পাসের বাইরেও থাকতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।
খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ:
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ। সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থী ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। শিক্ষক সহকারী, বিক্রয়কর্মী, ফুড ক্যাটারিং, গবেষণা সহকারী, কম্পিউটার ওয়ার্কসহ বিভিন্ন খণ্ডকালীন কাজ শিক্ষার্থীরা করতে পারেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পড়াশোনা শেষে ৩ বছরের ওয়ার্ক ভিসা।
ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা:
বাংলাদেশে থেকে কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া কানাডায় এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায়। গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়েই মূলত ক্রেডিট ট্রান্সফার হয়। তবে ক্রেডিট ট্রান্সফার কত শতাংশ পর্যন্ত করা যাবে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শর্তারোপ করে।
গ্লোবাল এডুকেশন ডেনমার্ক থেকে আমরা মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে অ্যাডমিশন লেটারের গ্যারান্টি দিচ্ছি তবে শর্ত হচ্ছে আবেদন পত্রের সাথে যথাযথ কাগজ সংযুক্ত করতে হবে।
সার্বিক যোগাযোগ: Mohammad Faisal, Managing Director, Globaleducation.dk, Denmark
Mobile: +4553353186, Email: [email protected]
in: https://dk.linkedin.com/in/internationalexpat
বাংলাদেশ অফিস : গ্লোবাল এডুকেশন ডেনমার্ক, ১৮৫ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫,
ফোন- ০১৫৩৪ ৫৮১০৮৮
প্রতিক্ষণ/এডি/রন