একজন সফল নারী উদ্যোক্তা

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫ সময়ঃ ১২:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৫২ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ/ডটকম:

Image-011এক সফল ও আত্মনির্ভরশীল নারী। সরকারি-বেসরকারি চাকরি ছাড়াও বিভিন্ন স্বাধীন পেশায় যুক্ত হয়ে আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেকে করেছেন প্রতিষ্ঠিত। রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সাগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মারেফা আক্তার জাহান (মুন্নি বেগম)।

স্বামী প্রভাষক মতিউর রহমান খোকন। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। সংসারে আর্থিক কোনো সঙ্কট না থাকলেও সাত থেকে বছর আগে একরকম সখের বসেই বুটিক শিল্পের কাজ শুরু করেন । রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স সম্পন্ন করে মেনােযাগ দেন নারীর জীবন মান উন্নয়ন ও সাবলম্বী করে গড়ে তোলার কাজে।

মানসম্পন্ন কাজের জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এখন বেশ বড়সড়ভাবেই ‘লিবাস বুটিক হাউস’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তিনি। প্রথমে রাজশাহী কৃষি ব্যাংক গোদাগাড়ী শাখা থেকে ২০ হাজার টাকা ও পরে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন।

ব্যবসার প্রথম দিকে তিনি হাতে তৈরি থ্রি-পিস, শাড়ি, ফতুয়া, ওড়না, বেডশিট, পাঞ্জাবি, কুশন কভার তৈরি করে স্থানীয় দোকানে সরবরাহ করতেন। পরবর্তীতে একে একে রাজশাহী শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোতেও স্থান পায় তার হাতে তৈরি বুটিকের পণ্য।

এখন শুধু রাজশাহীতেই নয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, দিনাজপুরসহ রাজধানী ঢাকাতেও নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি বুটিকের পোশাক পাইকারিভাবে সরবরাহ করছেন মুন্নি বেগম। তবে পুঁজির অভাবে অনেক ক্ষেত্রে তিনি চাহিদা অনুসারে মালামাল সরবরাহ করতে পারেন না।

শুধু ঢাকায় তার পা‌ন্যের চাহিদা মেটাতে প্রতি মাসে ৬ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। মুন্নি বেগমের বুটিক হাউসে গিয়ে দেখা যায় তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন আরও অনেক নারী। মুন্নি বেগম জানান, আশপাশের অনেক নারীই তার প্রতিষ্ঠানে বুটিকের কাজ করেন। বিধবা, গৃহিণী, স্কুল-কলেজের ছাত্রীসহ নারীরা মাসে দেড় থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। বুটিক শিল্পের সঙ্গে এখন উপজেলার প্রায় ২০০ নারী জড়িত বলে জানান তিনি।

মুন্নি বেগমের বুটিকের কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়লে ২০১০ সালের ২৯ মার্চ তৎকালীন নরওয়ে রাষ্ট্রদূত তার বুটিকের প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে আসেন। নারী হয়ে সমাজের অন্য নারীদের আর্থিকভাবে আত্মনির্ভরশীল করায় একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে। মুন্নিকে দেখে এখন উপজেলার অন্য নারীরাও এ কাজে উৎসাহিত হচ্ছেন।

গোদাগাড়ী উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শিমুল বিলাহ সুলতানা বলেন, মুন্নি খুবই উদ্যমী একজন নারী। তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর একাগ্রতা তাকে সাফল্যের এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/সুমি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G