ক্রোয়েশিয়াও সীমান্ত বন্ধ করলো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হাঙ্গেরির পর শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রবেশে বাধা দিতে শুরু করেছে ক্রোয়েশিয়াও। তারা ইতিমধ্যে সার্বিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংলগ্ন সাতটি পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত এসব শরণার্থীদের নিজ দেশে স্বাগত জানানোর কথা বললেও শুক্রবার হঠাৎ করেই সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে ক্রোয়েশিয়া সরকার। শুক্রবার রাজধানী জাগ্রেবে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এক ঘোষনায় বলেন,‘আমরা আর কোনো শরণার্থীকে আশ্রয় দেবো না।’ তবে তিনি সে দেশের সীমান্ত অতিক্রমকালে এসব শরণার্থীদের জন্য খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিক ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছেন,‘ক্রোয়েশিয়ার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সচেতন রয়েছে। তাই এসব গৃহহীন মানুষকে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়। এদের জন্য আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজেদের কথাও ভাবতে হবে।’
ইতিমধ্যে সার্বিয়ার সঙ্গে থাকা সীমান্তের সাতটি পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। অনাকাঙ্ক্ষিত অভিবাসীদের ঠেকাতে সীমান্তে সেনা নামানোর জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশটির সরকার। এর আগে ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যে সব অভিবাসী ইতোমধ্যেই ক্রোয়েশিয়ায় আছে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য তাদেরকেও আবদেন করতে হবে। আর আবেদন না করলে তাদেরকে অবৈধ অভিবাসী বলে বিবেচনা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে।
গত বুধবার সকাল পর্যন্ত ইউরোপের এই দেশটিতে ১৭ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। এসব শরণার্থীদের অধিকাংশই মধ্রপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বাসিন্দা। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বলছে, চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ শরণার্থী অর্থাৎ ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮শ ৮৭ জন ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে এসে পোঁছেছে যাদের অধিকাংশই সিরিয়ার নাগরিক। গৃহযুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতেই তারা ইউরোপে ছুটে আসছে।
এর আগে হাঙ্গেরি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় না দেযার কথা ঘোষণা করেছিল। তারা এসব শরণার্থীদের ঠেকাতে গত সোমবার একটি কঠোর অভিবাসন বিরোধী আইনও প্রবর্তন করেছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে