ক্ষুধার জ্বালায় নিজেকেই ভক্ষণ!( ভিডিও)

প্রকাশঃ মে ২০, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:

maxresdefaultসম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি প্রাণি বিক্রয় কেন্দ্রে ঘটেছে অদ্ভুত একটি ঘটনা।”রবার্ট মট” (Robert Mott) নামের একজন ক্রেতা যখন বিক্রয়কেন্দ্রটিতে যান সেসময় সেখানে বিক্রেতা অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি দেখতে পান, একটি সাপ নিজেকেই ভক্ষণ করছে! বিরল এই ঘটনাটি দেখে ভড়কে যান রবার্ট। কিন্তু কেন ঘটলো এরকম ঘটনা?

প্রাণি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ শীতল রক্তের প্রাণি। এর দেহের তাপমাত্রা নির্ভর করে পরিবেশের তাপমাত্রার ওপর। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সাপের দেহের মেটাবলিজমের মাত্রা বেড়ে যায় ফলে সাপ তখন ক্ষুধা অনুভব করে।

কিন্তু যে সকল সাপকে মানুষ শখের কারণে পোষে তাদের ক্ষেত্রে আবার প্রকৃতির এই তাপমাত্রা খুব কম প্রভাব ফেলে। যারা সাপ পোষে তারা বৈদ্যুতিক বাতির মাধ্যমে সাপ রাখার স্থানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যেখানে সাপ রাখা হয় সেখানে আবার ছায়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়, যাতে সাপের শরীর বেশি গরম হয়ে গেলে তারা এই ছায়ায় নিজেদের দেহের তাপমাত্রা কমাতে পারে।

কিন্তু যখন সাপ রাখার স্থানের তাপমাত্রা বেশি বেড়ে যায় তখন সাপের দেহের মেটাবলিজম এত বেশি হয় যে সাপ তখন নিজেকে অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ভাবা শুরু করে। যদিও তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সরবরাহ করা হয় তারপরও ক্ষুধা অনুভব করে। আর এসময় তারা সামনে যা পায় তাই খাবার চেষ্টা করে। এমনকি নিজেকেও নিজে খেয়ে ফেলার চেষ্টা করে।

নিজেকে খাবার চেষ্টা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিহত করা যায় তাপমাত্রা কমিয়ে। আর সাপ যদি বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠে তবে বাহ্যিক সহায়তায় সাপকে ছাড়িতে দিতে হয়। তা না হলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিজেকে ভক্ষণ করতে থাকে।

যদিও সাপটি পানির পাত্রের মধ্যে ছিল তারপরও বলা বাহুল্য যে সাপটির দেহের তাপমাত্রা কমাবার জন্য এই পানি যথেষ্ট ছিল না এবং সাপটি নিজেকেই খেয়ে ফেলতে থাকে। এমনকি নিজেই নিজেকে আহত করে দেহ থেকে রক্ত পর্যন্ত বের করে ফেলে। যদিও জানা সম্ভব হয়নি সাপটি বেঁচে আছে নাকি নিজেই নিজেকে খেয়ে আত্মহত্যা করেছে! সূত্র: ডেইলি মেইল।

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G