কয়লা খনি মামলাঃ আদেশ রোববার
নিজস্ব প্রতিবেদক
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে করা দুটি আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী রোববার এর আদেশ দেয়া হবে।
বিচারপতি মুহাম্মদ নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন দুটি দায়ের করেন।
আবেদন দুটি হলো- নিম্ন আদালতে এই মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব নথিপত্র রয়েছে সেগুলো উচ্চ আদালতে তলব করা। এবং এ মামলায় দুদকের প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে যে চার্জশিট দিয়েছিলো সে চার্জশিটের কপি উচ্চ অদালত আনা। ওই কর্মকর্তা বেগম খালেদা জিয়াকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করেছিলেন।
কিন্তু পরবর্তিতে দুদক এ মামলাটি তদন্ত করতে নতুন করে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়। মামলাটি দুদক পুনরায় তদন্ত করতে ওই কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়। তিনি এ মামলা তদন্ত করে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা এ মামলায় নিম্ন আদালতে যেসব নথিপত্র রয়েছে সেগুলো উচ্চ আদালতে তলব করার আবেদন করেছি। এবং এ মামলায় দুদকের প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের মামলাটি তদন্ত করে যে চার্জশিট দিয়েছিলো সে চার্জশিটের কপি উচ্চ অদালত আনতে আবেদন করেছি।
খালেদা জিয়া ও ১০ মন্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিগত তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের সময় এই মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। এ অভিযোগ এনে গত তত্ত্বাবধায়ক আমলে জরুরি অবস্থা চলাকালীন সময়ে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক।
শাহবাগ থানায় করা এ মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হিসেবে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। পরে এ মামলা দায়ের ও অনুমোদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে বাতিল আবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রের কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাটির অনুমোদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন। এ ছাড়া এ মামলা জরুরি ক্ষমতা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৭ সালে আলাদা একটি রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট এ বিষয়েও রুল জারি করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ