খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট: যাত্রীদের ভোগান্তি
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক-মিশুকের মৃত্যুর দায়ে বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন সাজার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকে তারা।
দূরপাল্লার যানবাহন না চলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন আন্তঃজেলা বাস যাত্রীরা। অনেকেই সকালে টার্মিনালে এসে গাড়ি না পেয়ে ফিরে গেছেন। নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীরা ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
আদালতের রায় অমান্য করে পরিবহন ধর্মঘট অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রবিবার মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শনের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, রোববার ভোর ৬টা থেকে বিভাগের সব রুটে এ ধর্মঘট শুরু হয়। খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে সকালে যাত্রী বা পণ্যবাহী কোনো বাহন ছেড়ে যায়নি। তবে বিভাগের বাইরে থাকা পরিবহন প্রবেশ করতে পারছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
ওই রায়ের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটি। যশোরের চাঁচড়া এলাকায় আঞ্চলিক কমিটির অফিসে শনিবার বেলা ১১টায় এক জরুরি সভায় ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল