গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া কুপির আলো

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫ সময়ঃ ৪:০৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:০৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

kupiগ্রামের অমাবশ্যার রাতে মিটি মিটি কুপির আলো জ্বালিয়ে মানুষের পথচলা এখন কেবল স্মৃতি । গ্রাম বাংলার প্রতি গৃহের অতি প্রয়োজনীয় কুপি আজ বিলীন হওয়ার পথে।

একটা সময় ছিল যখন বাহারি ধরনের কুপিই ছিল মানুষের অন্ধকার নিবারণের অবলম্বন। কিন্তু কালের বিবর্তনে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার, হ্যারিকেনসহ আরো অনেক কিছুই। ফলে ক্রমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় এই নিদর্শনটিও।

এই কুপিগুলোও ছিল বাহারি ডিজাউনের ও রংয়ের। কোনটি ছিল মাটির, কোনটি লোহার, কোনটি কাঁচের আবার কোনটি ছিল পিতলের তৈরী। নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী লোকজন কুপি কিনে সেগুলো ব্যবহার করত। বাজারে সাধারণত দুই ধরণের কুপি পাওয়া যেত ছোট ও বড়। কুপি হতে বেশী আলো পাওয়ার জন্য ছোট কুপি গুলোর জন্য কাঠ, মাটি বা কাঁচের তৈরী গছা (ষ্ট্যান্ড) ব্যবহার করা হতো। এই গছা গুলোও ছিল বিভিন্ন ডিজাউনের। কিন্তু বর্তমানে গ্রাম বাংলায় বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপির কদর হারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও অবশিষ্ট সময় মানুষ ব্যবহার করেছে বিভিন্ন ধরণের চার্জার ও হ্যারিকেন।

গ্রাম বাংলার আপামর লোকের কাছে কুপির কদর হারিয়ে গেলেও এখনও অনেক লোক আছেন যারা আঁকড়ে ধরে আছেন কুপির এই স্মৃতিকে। সৌখিন অনেকে এখনও কুপি ব্যবহার করেছেন আবার কেউ সযত্নে এটি সংরক্ষণ করেছেন আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় নিদর্শন হিসাবে। কুপির কদর ও ব্যবহার ক্রমে যে হারে লোপ পাচ্ছে এতে করে নিকট ভবিষ্যতে কুপি বাতির স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না বলে মনে করেছেন বিজ্ঞজনরা।

আবহমান গ্রাম বাংলার কুপি বাতির মতো অনেক ঐতিহ্যময় নিদর্শন আজ প্রযুক্তির কল্যাণে বিলীন হওয়ার পথে। কিন্তু এক সময় ছিল বাংলার প্রকৃত স্বরুপ ও ঐতিহ্য ছিল গ্রাম বাংলার এই নিদর্শন গুলো। তাই নব প্রজন্মকে অতীত ইতিহাস সঠিকভাবে জানানোর স্বার্থে কুপি বাতি গ্রামের ঐতিহ্যময় নিদর্শন গুলো সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল।

প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

September 2024
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
20G