চট্টগ্রামে ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

প্রকাশঃ মার্চ ১৯, ২০১৭ সময়ঃ ১০:৪৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৪৬ অপরাহ্ণ

ইউনিএইড কোচিং সেন্টারে চকবাজার থানার সাবেক ওসি আজিজ

সিএমপির বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন নগরীর জিইসি এলাকার এক কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়া। ঐ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে সিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করায় কোচিং মালিককে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে ওসি আজিজ। আসামীর সাথে বৈঠক করায় গত বছরের আগস্টে নগরীর চকবাজার থানা থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ হন ওসি আজিজ আহমেদ।

রাশেদ মিয়া প্রতিক্ষণকে জানান, ‘আইটি  বিষয়ক অভিজ্ঞতার কারণে গত কয়েক বছর আগে চকবাজার থানার সাবেক ওসি আজিজ আহমেদের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে ওসি আজিজ আমাকে ছোট ভাই হিসেবে জানত। কিন্তু তার চাকরি যাওয়ার পর সে আমার কাছ থেকে ভালো থানায় পদায়নের জন্য ৭০ লাখ টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দেয়ায় সে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে বিভিন্ন চেকে স্বাক্ষর নিয়ে সেগুলো দিয়ে এখন ব্ল্যাকমেইল করছে। ঐ চেকগুলো দিয়ে বিভিন্ন থানা থেকে মামলা দিচ্ছে।’

এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাশেদ মিয়া। এছাড়া গত ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী সংবাদ সম্মেলন করেন রাশেদ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘ওসি আজিজ আহমেদ থানায় আসামীর সাথে বৈঠক করার অপরাধে স্ট্যান্ড রিলিজ হন ও পরবর্তীতে সিটি এসবিতে যোগ দেন। এরপর রাশেদ মিয়ার কাছে ৭০ লক্ষ টাকা দাবি করেন আজিজ। টাকা না দেয়ায় ওসি আজিজ আহমেদ ও আবুল মনছুর আজাদ রাশেদকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। গত বছরের ১৬ই অক্টোবর রাশেদ মিয়ার কোচিং সেন্টারে গিয়ে তার কাছ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর হিসাব নং ১৩৩.১০১.৯০৩০ এর চেক নং ২৫৫৭৫৮২ হতে ২৫৫৭৫৯০ মোট ৯টি চেক ও ব্রাক ব্যংক লিমিটেড এর হিসাব নং ১১০৪১০৩১০৮১৯৩০০১ এর চেক নং ৪০৫৭৫৬১ ও ৪০৫৭৫৬২ দুইটি চেক নিয়ে নেন। এছাড়া আবুল মনছুর আজাদ রাশেদ মিয়ার কাছ থেকে ৮২ লাখ টাকা পাবে উল্লেখ করে তিনশ টাকার একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়।’

রাশেদ মিয়া বলেন, ‘পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করার পর আজিজ আমার উপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তিনি নগরীর বিভিন্ন থানায় তার সহচর আজাদ ও শিল্পী আক্তারকে দিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করান। প্রতিনিয়ত আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় সমন আসছে। জনগণ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু পুলিশ এমন কর্মকান্ড করলে জনগণ কোথায় যাবে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আজিজ আহমেদ জানান, ‘আমি কেন তার কাছ থেকে টাকা চাইব। আজাদের কাছ থেকে রাশেদ টাকা নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত চেয়েছে বলে রাশেদ আমার নামে অপবাদ ছড়াচ্ছে।’

ওসি আজিজের এ কথার বিষয়ে রাশেদ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবুল মনছুর আজাদ আমার কাছ থেকে কিসের টাকা পাবে সে বলুক। যদি কোনো প্রমাণ থাকে আমি টাকা দিতে বাধ্য থাকব। এসব আজিজের কাজ। আজিজ কিছুদিন আগেও আজাদ ও শিল্পী আক্তারকে নিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছে। তাদের সাথে আজিজের কী সম্পর্ক প্রশ্ন রাখেন রাশেদ।

এদিকে রাশেদ মিয়ার করা অভিযোগ তদন্ত করে সিএমপি কমিশনারকে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে সিটিএসবির এডিসি সায়েম মাহমুদ। এছাড়া সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুর রউফকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G