চট্টগ্রামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার-চট্টগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিভাগের কক্সবাজারের চকোরিয়ায় বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া আরো ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলায় বন্যায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সড়কের উপর পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত ৫ দিন ধরে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক, চকরিয়া-মগনামা সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কক্সবাজার জেলায় বন্যাদুর্গত এলাকায় ১৪১টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রে এপর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ দূর্গতকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী ও আনোয়ারাসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যপক খয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সাতকানিয়া, হলদিয়া থেকে বাজালিয়া পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক চার থেকে পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে ডলু খাল ও সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় সাতাকানিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, আনোয়ারা ও হাটহাজারীরসহ জেলার ৮৬টি ইউনিয়ন এবং ৮টি পৌরসভার মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
বন্যায় চট্টগ্রামে শত শত ঘরবাড়ি, শত শত একর ফসলি জমি এবং চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আজ দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ডেকেছেন।
বানভাসি মানুষেরা এ মুহূর্তে সরকার এবং জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যের হাত বাড়ানোসহ তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আকুল আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, ধসের আশঙ্কায় উচ্ছেদ করা হচ্ছে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ি। নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে, সেখানকার মানুষকে।