জহির ভূইয়া
২ টেষ্ট সিরিজের প্রথমটিতে চট্টলার উইকেটে টস হেরে বল করতে নেমে ভারতকে সুযোগ পেয়েও অল্প রানে আটকানো সম্ভব হয়নি, ৪০৪ রানে অলআউট। উল্টো জবাবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হলো! দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ২ উইকেটে ২৫৮ রানে ইনিংস ঘোষণার ঘটনায় বাংলাদেশের কাধে ৫১২ রানের পাহাড় চেপে ধরে। ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ কতটা পথ দ্বিতীয় ইনিংসে যেতে পারে সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করা টেষ্টে সবচেয়ে কঠিন কাজ। এখনও বাংলাদেশকে কাল ২৪১ রান জমা করতে হবে। এছাড়া হার নিশ্চিত। ক্রিজে সাকিব-মিরাজ, এটাই আপাতত সান্তনা স্বাগতিক শিবিরে।
জয়ের পথে যেতে চেষ্টা করেছে স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার জাকির আর শান্ত। ক্যারিয়ারের ৩য় ফিফটি করে আউট হন শান্ত ৬৭ রানে। শান্ত ফেরত যাবার পর জাকিরের সাথে ছিলেন ইয়াসির আলী। জাকির-শান্তর ওপেনিং জুটি ১২৪ রান যোগ করলেও ইয়াসির পারলেন না, ৫ রানেই আউট!
এরপর টাইগার শিবিরে আসা-যাওয়ার হিড়িক লেগে গেল। ১২৪ রানে ১ম উইকেট পতনের পর ২০৮ রানে ৪ উইকেট নেই! লিটন এবারও পারলে না, ১৯ রানে লিটন ক্যাচ দিলেন।
আর জাকির বাংলাদেশের ৪র্থ ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি (১০০) করে কোহেলী হাতে ক্যাচ দিলেন ২২৪ বলে ১৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার দিয়ে।
এরপর সবচেয়ে দামী আর অভিজ্ঞ জুটি ছিল বাংলাদেশের সাকিব-মুশফিকের জুুটি। কিন্তুৃ ১ম ইনিংসের মতো আবারো ব্যর্থ মুশফিক ২৩ রানে বোল্ড হলেন প্যাটেলের বলে। ১ম ইনিংসে ১৬ রান করা সোহান দ্বিতীয় ইণিংসে ৩ রানে স্ট্যাম্পিং দলকে ব্যাকফুটে যাবার পথটা আরোে এগিয়ে দিল।
স্কোর তো মাত্র ৬ উইকেটে ২৩৮ রান! জয়ের ঠিকানা তো বহু দূরের পথ। সঙ্গী-হীন সাকিব একজন সঙ্গী দরকার। যাতে সমুদ্র পাড়ি দেয়া যায়।
ওডিআই সিরিজে নায়ক বনে যাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ ক্রিজে সাকিবের পাশে দাঁড়ালেন। ৪০ বল খেলে শেষ বিকেলে ৯ রান জমা করে টেষ্ট ম্যাচের ব্যাখা দিলেন মিরাজ। আর সাকিব টেষ্ট ক্যারিয়ারে ৩০তম ফিফটির পথে ৪০ রানে অপরাজিত।
২৭২ রানে ৬ উইকেটে হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৪র্থ দিনটা শেষ করে হোটেলে ফিরে গেছে। কাল টেষ্টের শেষ ও ৫ম দিন। অনেক কিছু হতে পারে।
সকাল সকালে মানে লাঞ্চের আগেই অলআউট বাংলাদেশ। অথবা লম্বা ইনিংসে খেলে সাকিব-মিরাজ জুটি দলীয় স্কোর ৪ শত-র সীমানা পার করে দিল! তাহলে তো জয়ের ঠিকানা চোঁখের সামনে দৃশ্যমান হতে শুরু করবে।
সব কিছুই নির্ভর করছে সাকিব-মিরাজের ৭ম জুটির উপর। এ জুটির পর আর কোন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই। এরপর আছে স্পিনার তাইজুল, পেসার খালেদ আহমেদ আর আরেক পেসার এবাদত হোসেন।
যদি কাল সাকিবের ৬ টেষ্ট সেঞ্চুরি আর মিরাজের ৩য় টেষ্ট সেঞ্চুরি দৃশ্যমান সম্ভব হয়, তাহলে হয়তো . . .। কিন্তু এ ছাড়া আর কোন ব্যাখা এই টেষ্ট নিয়ে লেখা সম্ভব না কারো পক্ষেই। বাংলাদেশকে এখনও স্কোর বোর্ডে ২৪১ রান জমা করতে হবে।