চণ্ডীমন্দিরের পাদদেশে কিছু সময়

প্রকাশঃ জুলাই ৫, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

549315_293822804079677_1041704931_nবাংলাদেশের যে কয়েকটি স্থানে প্রাচীন স্থাপত্য কিংবা পুরাকীর্তি পাওয়া গেছে তার মধ্য অন্যতম কুমিল্লা।তাইতো প্রাচীন স্থাপত্য কিংবা পুরাকীর্তির  নাম শুনলেই সবার আগে চোখের সামনে ভেসে উঠে কুমিল্লার নাম। আর এসব পুরাকীর্তির মধ্যে এক অসম্ভব সুন্দর পুরাকীর্তি চন্ডীমুড়ার চূড়ার চণ্ডীমন্দির যা  সনাতন ধর্মালম্ভীদের নিকট এক বিশেষ তীর্থস্থান।

চন্ডীমুড়ার চূড়ার চণ্ডীমন্দির!জেলা শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও শহরের অনেকেই এই স্থানটি চিনেন না।যেখানে পাহাড়ের নিচ থেকে ১৬৩ ধাপ সিঁড়ি অতিক্রম করে আপনাকে পৌঁছতে হবে মন্দিরের সামনে। কুমিল্লা শহরের প্রায় ১৩ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে কুমিল্লা-চাঁদপুর-বরুড়া সড়কের সংযোগস্থলে চন্ডীমুড়া পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই চন্ডী মন্দির।লালমাই-ময়নামতির ৫৪ টি সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের মধ্যে এটি অন্যতম।

সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধরাজ দেবখড়গের স্ত্রী প্রভাবতী দেবী চন্ডীমুড়ায় ২টি মন্দির স্থাপন করেন। একটি চণ্ডী মন্দির, অপরটি শিব মন্দির। মুড়ার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে তিনি একটি দিঘিও খনন করেন।20katjl

বরুড়া থানার অন্তর্গত গোষণা গ্রামের স্বামী আত্ননন্দ গিরি মহারাজ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পরিত্যক্ত মন্দিরগুলো পুনঃসংস্কার করেন।

চণ্ডী মন্দিরের পেছনের দেয়ালে লম্বালম্বিভাবে বেশ বড় ফাটল ধরেছে। মন্দির দুইটিতে নতুন রং করা হলেও ফাটল মেরামতের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; তারও কারন স্বরূপ জানা যায় মহারাজ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে দেবীর আদেশে মন্দিরের ফাটল সংস্কার বন্ধ রেখেছেন।

প্রতি বছর তিনবার চণ্ডীমুড়ায় ভক্তবৃন্দের সমাবেশ ঘটে। কার্তিক মাসের কালীপূজার সময় দেওয়ানি উৎসব, পৌষ-মাঘ মাসে গীতা সম্মেলন এবং ফালগুন-চৈত্র মাসে বাসন্তী মহাঅষ্টমী।

যেভাবে যেতে হবে: ঢাকা থেকে লাকসামের বাসে নামতে হবে লালমাই, সেখান থেকে রিক্সায় যেতে পারেন চন্ডীমুড়া। আর যদি কুমিল্লা শহর থেকে যেতে চান তাহলে  টমছম ব্রিজ বাস স্টেন্ড থেকে বরুড়ার বাসে সরাসরি যেতে পারেন চন্ডীমুড়া। কোটবাড়ি বা ময়নামতি থেকে যেতে চাইলে, প্রথমে যেতে হবে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, সেখান থেকে বাস বা সিএনজি তে যেতে হবে  চন্ডীমুড়া।

প্রতিক্ষণ/এডি/জুয়েল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G