চিহ্নিত হয়েছে তাভেলার খুনিরা

প্রকাশঃ অক্টোবর ১৭, ২০১৫ সময়ঃ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:১০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

যে কোনো মুহূর্তে গ্রেtabelaফতার হচ্ছেন ইতালির নাগরিক সিজারি তাভেল্লার খুনিরা। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা সন্দেহভাজন ওই ঘাতকদের নজরদারির মধ্যে নিয়ে এসেছে। এর আগে ঢাকায় সিজারি তাভেল্লা ও রংপুরে কুনিও হোশি খুনের পর টুইটার বার্তার সূত্র খুঁজতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় গোয়েন্দারা। ওই টুইটার বার্তার সূত্র ধরেই খুনিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুতগতিতে চলছে। তারা হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। যে কোনো মুহূর্তে ঘাতকদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, তাভেল্লা খুনের কয়েক মিনিট পরই গুলশানের ৪৪ নম্বর সড়ক থেকে অনলাইনে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য দাবি করে টুইটারে বার্তা দেয়া হয়। এর মাধ্যমে ওই ঘটনায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উল্লেখ করে মূল ঘাতকদের আড়াল করার অপচেষ্টা চালানো হয়। তবে তাদের সে অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, খুনিদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তদন্তে তাভেল্লা খুনের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) জঙ্গি সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে সন্দেহভাজন হত্যাকারীরা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি গোষ্ঠীর সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় তাভেল্লা ও রংপুরে কুনিও হোশিকে হত্যার পর এটি আইএসের কাজ বলে ওই গোষ্ঠীটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়। তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছে, দুই খুনের পরিকল্পনা একই সূত্রে গাঁথা। তবে তদন্তে দুই হত্যার ঘটনা পৃথকভাবে ভিন্ন খুনিরা অংশ নেয়।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, তাভেল্লা খুনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী তিনজনকে ঘিরেই তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে। বিদেশী হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। খুনিদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ও এখনও পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল ছাড়াও আশপাশের সিসি ক্যামেরার মোট ১৫৫টি ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই তিনজনকে গ্রেফতারই এখন মূল টার্গেট বলে তিনি জানান।
২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ৯০ নম্বর সড়কের পশ্চিম প্রান্তে গুলশান এভিনিউ সংলগ্ন গভর্নর হাউসের দক্ষিণের দেয়াল ঘেঁষা ফুটপাতে সিজারি তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তাভেল্লা নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিওতে চাকরি করতেন সে প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হেলেন দার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করা হয়। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলার পর পুলিশ সদর দফতর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে সহায়তার জন্য আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি বর্তমানে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। তবে মূল তদন্তকারী দলের বাইরে সরকারের সব কটি সংস্থা ওই ঘটনার ছায়াতদন্ত করছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এসএবি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G