চীনে অবরুদ্ধ বাংলাদেশিদের আনতে যাচ্ছে বিমান

প্রকাশঃ জানুয়ারি ৩১, ২০২০ সময়ঃ ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অবরুদ্ধ চীনা নগরী উহানে আটকে পড়া তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট তাদের আনতে চীনের উদ্দেশে রওনা হবে। মধ্যরাতে বিমানটি তাদের নিয়ে ঢাকায় ফিরবে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “এই ৩৪১ জনকে এনে প্রথমে আশকোনার হজ ক্যাম্পে রাখা হবে।”

সে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কাজে নেমেছেন বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন, যিনি আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কিছুকাল আগে অবসরে গিয়েছেন। সংস্থাটি এই সঙ্কটে তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে।

মুশতাক হোসেন বলেন, “আইইডিসিআর থেকে আমাকে শুক্রবার সকাল ৯টায় এয়ারপোর্টে যেতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে আমরা হজ ক্যাম্পে যাব।”

“তাদের দেশে আনার পর কোথায় রাখা হবে, কিভাবে রাখা হবে, সার্বিক বিষয় সরেজমিনে দেখার জন্য যেতে বলা হয়েছে,” বলেন তিনি।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, উহানে আটকে পড়া বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি দেখভাল করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

“আমাদের যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চীনে অনুমতি পেলে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য উড়োজাহাজ তৈরি রাখা হয়েছে।

“তাদের আলাদাভাবে রাখতে হাসপাতালে বিশেষ আয়োজন করেছি। আনার পরে দায়িত্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।”

প্রাণঘাতী এই ভাইরাস চীনের সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লেও দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হননি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ফেরত আনার পর বাংলাদেশিদের পর্যবেক্ষণ রাখা হবে।

বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস উহানে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের তথ্য সংগ্রহের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে। তাদের বেশিরভাগই দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

যে শহর থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলা হচ্ছে, সেই উহানে আটকে পড়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরতে চান তারা। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পুরো ধাপ পেরোতেও তারা রাজি।

উহানে ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্ক বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G