চুল পড়ার কারণ জানেন কি?

প্রকাশঃ মার্চ ১৭, ২০১৬ সময়ঃ ৪:০১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৫৬ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

hairfall

আজকালের ব্যস্ত জীবনে দেহের যত্ন নেয়াটা অনেক ধৈর্যের ব্যাপার। তবে ভেজালযুক্ত খাবারের ভিড়ে আর দূষিত পরিবেশের মাঝে থেকে দেহের যতটা ক্ষতি হয় তাতে যত্ন না নিয়েও উপায় নেই। এই যেমন চুলের কথাই ধরুন। ক্যামিকেলযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে এমনিতেই তা দেহে বিরূপ প্রভাব ফেলে। আর তার উপর আপনি যদি ঐ ক্ষতিগ্রস্ত চুলেই আবার ক্যামিকেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করেন তাহলে তা মরার উপর খরার ঘা নয় কি?

আর তাই চুল আঁচড়াতে গিয়ে আজকাল সকলেরই এক চিন্তা- সব চুল পড়ে যাচ্ছে! কী করি? কত শত হেয়ার প্যাক আর পার্লারে ছোটাছুটি, কত চেষ্টা চুল পড়া রোধ করার জন্য। কিন্তু চুল পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না কিছুতেই। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনি চুল পড়ার কারণগুলো জানতে পারেন, তবে এই সমস্যা সমাধান করা কিছুটা হলেও সহজ হবে। আসুন জেনে নিই চুল পড়ার কারণগুলো-

হেয়ার স্টাইল

ঘন ঘন হেয়ার স্টাইল পরিবর্তন, চুল আয়রন করা, ব্লো ড্রাই, রং করা ইত্যাদি চুল পড়া বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি। এটি চুল রুক্ষ, ভঙ্গুর করে তোলে।

প্রোটিনের, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব

আমাদের চুল কেরোটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি। শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে চুলের উপর প্রভাব পড়ে। চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। চুলের আগা ফেটে যায়। চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার পরিবর্তে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়া শরীরে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলেও চুল পড়তে পারে৷ সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়ে থাকে৷

খাদ্যে পুষ্টির অভাবের সাথে সাথে খুব বেশি ডায়েটিং-এর ফলেও চুল পড়ে৷ তাই ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং প্রচুর মাছ খাওয়া দরকার৷ তাছাড়া দুধ, ডিম, শাক-সবজি অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে৷ আর যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে ভুলবেন না যেন।

বিজ্ঞাপন

চুল পড়া বন্ধ হবে বা নতুন চুল গজাবে–  বাজারে এ ধরনের নানা আকর্ষণীয় ঔষুধের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়৷ অনেকেই উপায়ান্তর না দেখে এসব বিজ্ঞাপনে প্রলোভিত হয়ে চুলে নানা রকম তেল বা ঔষুধ ব্যবহার করে থাকেন, যার ফল হয় বিপরীত৷ বিশেষজ্ঞের মতে, এ সব দিকে না তাকিয়ে সরাসরি ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷

ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ঔষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকেও চুল পড়তে পারে, তবে তা বেশিদিন থাকে না৷ ওষুধ বন্ধ করে দিলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন চুল গজায়৷ ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি দেওয়ার পর পুরো মাথার চুল পড়ে গেলেও সেই জায়গায়ই কিছুদিন পরে আবার নতুন চুল ওঠে৷

থাইরয়েড সমস্যা

শরীরে থাইরয়েডের মাত্রার তারতম্য হলে শুধু চুল পড়া নয় – নখ এবং ত্বকেও পরিবর্তন দেখা দেয়৷ তাছাড়া এই সমস্যায় অনেকে ক্লান্ত বোধও করেন৷ কাজেই নিজের মধ্যে এসব পরিবর্তন দেখলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ৷

বংশগতভাবে

চুল পড়ার অন্যতম কারণ হয় বংশগত বা জেনেটিক কারণ। আপনার পরিবারে চুল পড়ার প্রবণতা বেশি থাকলে আপনারও বেশি পরিমাণে চুল পড়া শুরু হতে পারে। অবশ্য পুষ্টিকর খাবার, চুলের যত্ন এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।

স্ট্রেস

স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার সাথে সাথে আপনার চুলেরও ক্ষতি করছে। এটি সরাসরি চুল পড়ার সাথে জড়িত। লক্ষ্য রাখবেন, আপনি যখন চিন্তাগ্রস্থ থাকেন তখন আপনার চুল পড়া বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। আবার চিন্তামুক্ত হয়ে গেলে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়।

#লাইক ও শেয়ার দিয়ে প্রতিক্ষণের সাথে থাকুন।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G