জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজন ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা

প্রকাশঃ জুলাই ৩, ২০১৬ সময়ঃ ১২:২৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৪৮ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

Anxiety-and-creditঢাকার গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় বেরিয়ে আসছে। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে এরা সবাই আধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত, ইংলিশ মিডিয়াম বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছ্বল পরিবারের তরুণ। এতদিন মনে করা হত, দারিদ্র্য ও অশিক্ষা জঙ্গীর জন্ম দেয়। কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা সবাইকে চমকে দিয়েছে।

কীসের অভাববোধ ছিল এই তরুণদের জীবনে যে তারা এমন ভয়ংকর পথে পা বাড়ালো যেখানে কেবল মৃত্যু আর মৃত্যু?

মনোবিদরা বলছেন, এসব তরুণের জীবন আপাতদৃষ্টিতে সুখী ও স্বাভাবিক মনে হলেও তাদের জীবনে কোন বড় ধরণের হতাশা বা বঞ্চনার অনুভূতি থাকতে পারে। এই ব্যক্তিগত হতাশা কাটিয়ে উঠতে গিয়ে, নিজেকে “কিছু একটা” হিসেবে প্রমাণের আকাঙ্ক্ষা থেকে তারা এই পথ বেছে নেয়। আর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো চমৎকারভাবে ব্রেইনওয়াশ করতে পারে। তাই এসব তরুণ সব বোধ-বুদ্ধি হারিয়ে জীবন নেওয়া ও দেওয়ার খেলায় মেতে ওঠে।

অন্যদিকে ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, এসব তরুণ সাধারণত এমন পরিবার থেকে আসে যেখানে ধর্মীয় শিক্ষা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয় না। এরা ধর্মের মানবিক দিকগুলোর সঙ্গে অপরিচিত। তাই যখন জঙ্গিরা তাদের ধর্মের শিক্ষার নামে ভুল শিক্ষা দেয় তখন তারা সেটাই মেনে নেয় এবং “জিহাদে” ঝাপিয়ে পড়ে।

এ থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে ইসলামি চিন্তাবিদরা পরিবারে ও শিক্ষাঙ্গনে সঠিক সুন্দর ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রসারে উপর গুরুত্ব দেন। তারা মনে করেন ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও চর্চাই পারে তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G