জজ মিয়ার পুনরুত্থান
আমীর খসরু
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রেরিত একটি প্রতিবাদ ছাপা হয়েছে প্রভাবশালী দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ ৯ অক্টোবর। গত ৫ ও ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের চলতি পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন, যেখানে মৌলবাদ-জঙ্গীবাদের প্রসঙ্গ ছিল, তার প্রতিবাদ জানাতেই রাষ্ট্রদূত ওই প্রতিবাদ পাঠিয়েছিলেন। প্রতিবাদপত্রে জিয়াউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন জঙ্গীবাদ উত্থান দমনে। সাথে সাথে তিনি একটি তথ্যও দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে জঙ্গীবাদ সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪শ ৪জন, যা বর্তমান বছরে এসে দাড়িয়েছে ৩৭ জনে।
মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক বিষয়াবলী দেখভাল করা সামান্য দু’একজন ব্যক্তির একজন। এ্যম্বাসেডর অ্যাট লার্জ পদ নিয়েই ব্যাপক ক্ষমতাশালী ছিলেন। এখনো আছেন। পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতি-নির্ধারকদের তিনি এখনো একজন। কাজেই জিয়াউদ্দিন যা বললেন, তাতে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিই আরও বেশি এবং ব্যাপকতর মাত্রায় প্রতিফলিত হবে- তাই স্বাভাবিক। জিয়াউদ্দিন তার যে তথ্য দিয়েছেন তাতে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালে একদলীয় ও ভোটারবিহীন নজির সৃষ্টিকারী নির্বাচন প্রতিহত করা অর্থাৎ এ কারণে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় ক্ষমতাসীনদের হাতে যে সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, তাদের সবাইকেই তিনি জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দোষর বলে অভিহিত করেছেন। একটি একদলীয় ভোটারবিহীন নির্বাচন যে সরকার করছে বা করে, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের সাথে জঙ্গীবাদকে বর্তমান সরকার সমার্থক ও একাকার করে ফেলেছে। আর এই বছরের যে ৩৭ জনের হিসাব দেয়া হয়েছে তাদেরও ওই একই অবস্থা। এই তথ্য সম্বলিত জিয়াউদ্দিনের বক্তব্যে একটি বিষয় আরও একবার স্পষ্ট করা হয়েছে যে, বর্তমান সরকারের পক্ষে না থাকায় যাদের জীবন কেড়ে নেয়া হয় তারাই জঙ্গী। আর কথা বলাটাই হচ্ছে জঙ্গীবাদ এবং জঙ্গীবাদে উস্কানি। তাহলে এই প্রশ্নও উত্থাপন জরুরি যে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, অপহরণ, গুমসহ যেসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটছে তাও কি ওই একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হবে?
এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই ইটালীয় নাগরিক সেজার তেভেলা ও জাপানি নাগরিক কোনিও হোশি’র হত্যাকান্ডের তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক থেকে বলে দিয়েছিলেন, এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। দেশে এসে তিনি তার সন্দেহের তীরটি আরও তীক্ষ্ণ এবং সুনির্দিষ্ট করে বললেন, এটা বিএনপি নেত্রীই ঘটিয়েছেন। ১০ অক্টোবর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশে অস্থিতিশীলতা এবং আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বিদেশীদের হত্যা করছেন এবং এটা তার নতুন কৌশল’। এর আগেও কোনো না কোনো ঘটনা ঘটলেই সরকারের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হয়েছে এবং সমাবেশ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে, যার আদ্যপান্ত দেশবাসীর জানা আছে।
২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে গ্রেনেড হামলায় বিএনপি ‘জজ মিয়া’কে আবিষ্কার করেছিল। কিন্তু এবার অতো খোজাখুজির প্রয়োজন পড়েনি। এবার খালেদা জিয়া স্বয়ং ‘জজ মিয়া’ হয়েছেন ।
প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধান নির্বাহী। তার যেকোনো বক্তব্যে স্বাভাবিক কারণেই সত্য এবং প্রমাণাদিসমৃদ্ধ হবে বলেই সবার ধরে নেয়ার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে যে শুধু তার দলের বা ক্ষমতাসীনদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তা নয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছোট বড় কর্তাদের মুখ থেকেও একই ধারার বক্তৃতা এবং মন্তব্য শুনতে পাওয়া যাচ্ছে।
খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপি বা অন্য যে কেউ জড়িত হোক না কেন তার বিচারে বাধা কোথায়? যদি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের কাছে প্রমাণাদি থাকে তাহলে অতিঅবশ্যই তাকে বা তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। কারণ এতো বড় ঘটনার জন্য তারা দায়ী হলে বিচার করে পুরো বিষয়টির সুরাহা হওয়া দরকার। কারণ তা না হলে এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটতে থাকবেই। আর যদি তা করা না হয় তাহলে জজ মিয়া বানানোর মাধ্যমে দেশের ক্ষতি করার কোনো নৈতিক যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না।
কিন্তু দু’জন নাগরিক হত্যাকান্ডের তদন্ত কাজের অগ্রগতি কতোটুকু? ২৮ সেপ্টেম্বর নিহত হন ইটালীয় নাগরিক সেজার তাভেলা এবং ৩ অক্টোবর জাপানি নাগরিক কোনিও হোশি। পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর দৌড়ঝাপ, তদন্ত কমিটি গঠন, জিজ্ঞাসাবাদের নামে নানাজনকে আটক, আবার ছেড়ে দেয়াসহ অনেক কিছুই দৃশ্যমাণ হচ্ছে। কিন্তু অগ্রগতি হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কোনো আশাবাদের খবর নেই, নেই কোনো সুসংবাদ।
এ কথাটি ভুলে গেলে চলবে না যে, এতোদিন জঙ্গীবাদের বিষয়টি কমবেশি দেশী জঙ্গীগোষ্ঠীকেন্দ্রীক সীমাবদ্ধ ছিল। এ বছরে ৪ জন ব্লগার হত্যার পরে আল-কায়েদার ভারতীয় শাখার নাম এসেছে। ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর পরোক্ষ যোগসাজশের কথাও শোনা গেছে। দুই বিদেশী হত্যাকান্ডের পরে এবার সরাসরি আইএস-এর দায় স্বীকার ও সম্পৃক্ততার খবরটি চলে এসেছে। কাজেই জঙ্গীবাদের বিপদটি যে ‘বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে’ বলে এখন আর সেই রাখার বালকের গল্পে সীমাবদ্ধ নেই তা বোধকরি স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে। শুধু দেশেই নয় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থাগুলোও এখন নিদারুনভাবে উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন কূটনৈতিক মহলও।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার যখন ২৫ সেপ্টেম্বর সতর্কবার্তা জারি করে তখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই সতর্কবার্তা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যমূলক বক্তব্য দিয়েছিল আমাদের কর্তা ব্যক্তিরা। এর পরে দুর্ভাগ্যজনক ও অনাকাংখিত প্রথম ঘটনাটি ঘটার পরে এবং আইএস-এর দায় স্বীকারের পরে শুরু হলো ভিন্ন পন্থা গ্রহণ। তদন্তের আগেই একযোগে বলা হতে থাকলো আইএস নেই বাংলাদেশে। যে সংস্থাটি ওয়েবসাইটে এই বার্তাটি প্রচার করলো তাদের সম্পর্কেও নানাবিধ নেতিবাচক মন্তব্য করা শুরু হলো। জাপানি নাগরিক হত্যার পরেও যখন আইএস দ্বায় স্বীকার করলো তখন আরও জোরালেভাবে বলা হতে থাকলো, আইএস নেই বলে একই কথা। আর এ সবই করা হলো কোনো প্রকার সুষ্ঠু তদন্তের আগেই। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট জোর দিয়েই বললেন, সব দিক বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশকে তদন্ত কাজ করতে হবে। অর্থাৎ এর মধ্যদিয়ে স্পষ্ট যে, এক, আইএস কি সরাসরি বাংলাদেশে সক্রিয় অথবা যদি সরাসরি সক্রিয় না থাকে তাহলে তারা কি স্থানীয় কোনো বা একাধিক জঙ্গী সংগঠনকে মদদ দিচ্ছে? দুই, আইএস-এর সাথে ব্যক্তি পর্যায়েও কি কোনো যোগাযোগ কারো সাথে রয়েছে? তিন, যদি এটা নাই হয়ে থাকে তাহলে স্থানীয় জঙ্গীরা এ কাজ করেছে কিনা? চার, যদি প্রথম তিনটির একটিরও হদিস না মেলে তাহলে দেখতে হবে অভ্যন্তরীণভাবে কেউ জড়িত কিনা?
এসব কোনো কিছুই না করে সরাসরি সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া হলো বাংলাদেশে আইএস নেই। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে – এটা কি স্থানীয় পর্যায়ের জঙ্গীদের কর্মকান্ড? এরও কোনো জবাব দেয়া হলো না। ঢাকায় পশ্চিমা কূটনীতিকরা তাদের নিজ নিজ উদ্যোগে খবরাখবর নেয়ার কথা প্রকাশ্যেই বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আইএস আছে কি নেই তার খোজ-খবর তারা নিচ্ছেন। এর পরের দিনই রাষ্ট্রদূত বললেন, আইএস মোকাবেলায় তার সরকার বাংলাদেশ সরকারের সাথে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, আইএস নেই। তিনি ইঙ্গিত করলেন, তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি। রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর এমন বক্তব্যের পরে আর তদন্তের প্রয়োজন পরে কি না সে প্রশ্নটি অনেকেই উত্থাপন করেছেন। তাহলে প্রশ্ন উত্থাপন জরুরি যে, দেশে অন্যান্য জঙ্গী সংগঠনের অস্তিত্বও এখন আর আছে কিনা? এ বিষয়টিও সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে সহি মনে সত্যিকার অর্থেই আমি সেই বিশ্বাসীদের দলে থাকতে চাই, যারা বিশ্বাস করে দেশে আইএস বা অন্য কোনো জঙ্গী সংগঠন নেই। কিন্তু বিশ্বাস স্থাপন করাটা কষ্টকর হচ্ছে এই কারণে যে, তাহলে আইএস-এর সদস্য সংগ্রহকারী বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যাকে গ্রেফতার করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে তিনি এবং তার অন্যান্য সাঙ্গপাঙ্গরা কারা? ওই ব্যক্তিসহ আইএস-এর সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৫ বা ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে কেন? এদের গ্রেফতারের পরে সংবাদ সম্মেলন করে আইএস-এর সাথে সম্পৃক্ততার কথা বার বার বলা হয়েছে। এই প্রশ্নটিও উত্থাপন করতে হবে যে, কেন আইএস সমন্বয়কারী হিসাবে গ্রেফতারকৃত সাখাওয়াতুল কবীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গ্রহণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা শুরু করবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএস বা আল কায়েদা যে সব সময় নিজেরা সরাসরি এসে তাদের তৎপরতা চালায় তা নয়। তারা স্থানীয় পর্যায়ের জঙ্গী সংগঠনগুলোর সাথেও সম্পৃক্ততা গড়ে তোলে। জাপানের রাষ্ট্রীয় প্রভাবশালী টেলিভিশন ‘এনএইচকে’ গত ৬ অক্টোবর খবর দিয়েছে যে, আইএস-এর বাংলাদেশ শাখা জাপানি নাগরিক হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে বলে আইএস পরিচালিত এক অনলাইন রেডিওতে দাবি করা হয়েছে। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ বা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ২৫ থেকে ৩০ জন আইএস-এ যোগদানের জন্য সিরিয়াসহ ওইসব দেশে পৌছেছে।
এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই পশ্চিমী দুনিয়ার দেশ এবং জাপানসহ ঢাকাস্থ বহু দূতাবাস যে সতর্কবার্তা জারি করেছে তা বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য কোনোক্রমেই সুখকর নয়। সবশেষ ৯ অক্টোবর রাতে বৃটেন যে সতর্কবার্তাটি জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসবাদের বড় ধরনের হুমকি রয়েছে বাংলাদেশে। ‘পশ্চিমাদের উপর নতুন করে নির্বিচারে হামলা’ হতে পারে বলেও ওই সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্যদের চলমান সতর্কবার্তাগুলোও সতর্কতামূলক বাণীতে পূর্ণ।
এখানে উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ৫ অক্টোবর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতেই তারা তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে আগে-ভাগেই সতর্কতামূলক তথ্য ও খবরাখবর দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৭ অক্টোবর স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারকে বিদেশী কেউই এমন সতর্কতামূলক আগাম তথ্য দেয়নি।
জঙ্গীবাদের এই সব ঢামাঢোলে ইতোমধ্যে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি বাংলাদেশের গার্মেন্টসহ অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থা চললে আগামীদিনগুলোতে কি পরিস্থিতি দাড়াবে বলা মুশকিল।
কিন্তু সরকার এসব বিষয়গুলো কোনো ধরনের বিবেচনায় না নিয়ে, দেশ এবং জনগণের ভবিষ্যত চিন্তা না করে, জঙ্গীবাদের ভিন্ন তত্ত্ব হাজির করেছে। আর সে বিপজ্জনক তত্ত্বটি হচ্ছে – সরকারের বিপক্ষে হলেই তারা জঙ্গী। তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বখ্যাত প্রখ্যাত পন্ডিত-দার্শনিক নোয়াম চমস্কি তার সাক্ষাতকার ভিত্তিক বই Perilous Power বই-এ (পৃষ্ঠা-১৩) বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদকে ব্যবহার করে দুনিয়ার অর্ধেক নিপীড়নকারী সরকারি প্রশাসন উপকৃত হয়েছে। কারণ একে ব্যবহার করে নির্যাতন, নিপীড়ন ও সন্ত্রাসের সুযোগ পাওয়া যায়।।
সূত্রঃ আমাদের বুধবার