জন্তু-জানোয়ারের সেরা ছবি ২০১৫

প্রকাশঃ অক্টোবর ১৮, ২০১৫ সময়ঃ ২:১৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১৫ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি দেখায় প্রকৃতি কত সুন্দর অথচ কত ক্ষণভঙ্গুর৷ সেই বিরল মুহূর্তগুলো ধরে রাখার দায়িত্ব প্রকৃতিপ্রেমী আলোকচিত্রীদের৷ এমনই কিছু ছবি থাকছে আজ পাঠকদের জন্য।

তুই শেয়াল না মুই শেয়ালposhu 1
জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে উত্তর অ্যামেরিকার রেড ফক্স বা বাদামি শেয়ালেরা ক্রমেই আরো বেশি করে সুমেরু অঞ্চলের স্নো ফক্স বা সাদা শেয়ালদের রাজত্বে ঢুকে পড়েছে৷ শুধু ঢুকে পড়েছে নয়, মাঝেমধ্যে স্বজাতিকে শিকারও করে ফেলছে৷ ক্যানাডার নাগরিক ডন গুটোস্কি উত্তর ক্যানাডায় ৪০ হেক্টার জমির মালিক৷ মাইনাস তিরিশ ডিগ্রি ঠান্ডায় তিন ঘণ্টা বসে থেকে তিনি এই ছবিটি তোলেন৷

গোসাপposhu 2
এডউইন গিসবার্স হল্যান্ডের লোক৷ নদীনালার হিমশীতল জলে রাবারের স্যুট পরে অসীম ধৈর্য্যের সঙ্গে বসে থেকে তিনি এই গোসাপের ছবিটি তোলেন – এবং উভচর প্রাণী তথা সরীসৃপ বিভাগের সর্বোচ্চ পুরস্কারটি পকেটস্থ করেন৷

স্কারলেট আইবিসposhu 3
সারস গোত্রীয় এই লালপাখিদের ছবিটি তোলা হয় ব্রাজিলে৷ আলোকচিত্রী ছিলেন ফ্রান্সের জোনাথান জ্যাগো৷ পুরস্কার জিতেছেন ১৫ থেকে ১৭ (বছর) বিভাগে৷ ইলহা দো লঁসোয়া সৈকতে ডিঙি বেঁধে লাল আইবিসদের কাঁকড়া ধরা দেখছিলেন জোনাথান৷ আইবিসরা উড়ে যাবার সময় জোনাথান তাদের ছবি তোলেন৷

তিমি মাছের ক্ষিদেposhu 4
অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল অ’ জলের নীচে ফটোগ্রাফিতে সেরা পুরস্কারটি জিতেছেন একটি ব্রাইড্স হোয়েল গোত্রীয় তিমি মাছ ছোট সার্ডিন মাছেদের ঝাঁকের উপর ধাওয়া করছে, এই ছবিটি তুলে৷ একবার হাঁ করলেই গোটা ঝাঁকটা তার মুখে ঢুকে যেতে পারে, পেটের কথা না হয় বাদই গেল!

শৈবালposhu 5

অ্যালগে বলতে বোঝায় জলজ শ্যাওলা৷ স্পেনের বাহিয়া দে কাদিজ ন্যাচারাল পার্কে ছবিটি তোলেন পের সোলার৷ তিনি নিজেও স্প্যানিশ৷ বসন্তে জলাভূমির অ্যালগে সবুজ সমুদ্রশৈবালের গায়ে যেন ফুটে থাকে! আকাশ থেকে তোলা ছবি বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি৷

কোন পাখিposhu 6

পক্ষি বিভাগে জিতেছে তিনটি লাল-পা শিকরী বাজের একটি ছবি, তুলেছেন ইসরায়েলের আমির বেন-ডভ৷ শীতে ইউরোপ থেকে আফ্রিকা যাবার আগে পাখিগুলো বাইট সেমেশ-এ একটু জিরিয়ে নিচ্ছে৷

সার্কাসposhu 7

‘‘এই বাঘ-সিংহগুলোকে আফিম গেলানো থেকে শুরু করে তাদের দাঁত-নখ উপড়ে নেওয়া, সার্কাস চলার সময় বল্লম দিয়ে খোঁচা দেওয়া, সব কিছু করা হয়েছে’’, লিখেছেন ‘সিঙ্গল ইমেজ’ বিভাগে বিজয়ী জার্মানি তথা ব্রিটেনের ব্রিটা ইয়াশিন্সকি৷ চীনের গুইলিন-এর একটি সার্কাসের দৃশ্য৷ মাঝের প্রাণীটি আবার একটি ‘লাইগার’, যার বাপ হলো সিংহ কিন্তু মা একটি বাঘ! এই লাইগার নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্জার৷

‘রাফ’ বা গলকণ্ঠীposhu 8

ইয়ং ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারটি পেয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের অনজ্রেই পেলানেক৷ নরওয়ের গ্রীষ্মে দিনরাত আলো থাকে৷ অনজ্রেই তাঁর ঘেরাটোপে বসে এই দুটি পুরুষ ‘রাফ’ বা গলকণ্ঠী পাখির ছবি তোলেন, অবশ্যই তাদের ঝগড়া মেয়ে পাখিটিকে নিয়ে৷

ছায়াময় কায়াposhu 10

দেওয়ালে ও কার ছবি? শেয়ালের৷ কিন্তু এ শহুরে শেয়াল, আসে-যায় অতি সাবধানে, দেখা পাওয়া যায় কি যায় না৷ আর্বান বা শহুরে বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি৷ তুলেছেন যুক্তরাজ্যের রিচার্ড পিটার্স৷ তাঁর এক বন্ধু ঠিক সময় লাইট জ্বালিয়ে দেন, কাজেই শেয়াল পণ্ডিত ধরা না পড়েও ধরা পড়েছেন৷ সে ছবি তোলা রইল ব্রিটেনের ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামে৷

সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে

প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G