ক্রীড়া ডেস্ক
এবারের বিশ্বকাপটা যেন ছোট দলগুলোর জন্য অন্য রকম এক বিশ্বকাপ। ঠিক যেন হিসেব গুলো ফিফার কাগজের তালিকা মোতাবেক মিলছে না। সৌদি হারিয়ে দিল মেসিদের আর্জেন্টিনাকে, আর আজ রাতে বিশ্ব পরাশক্তি খ্যাত জার্মানরা স্তব্ধ হয়ে গেছে।
শক্তির বিচারে জার্মানি ও জাপানের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। জার্মানি চারবার জিতেছে বিশ্বকাপের শিরোপা, জাপানের সর্বোচ্চ ফল শেষ ষোলোয় অংশগ্রহণ। খেলায় বেশি আধিপত্যও বিস্তার করেছে ডাইম্যানশাফটরা। কিন্তু জয় সঙ্গী হয়েছে সামুরাই ব্লুদের। দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে এশিয়ার দেশটির জয় ২-১ গোলে।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বুধবার (২৩ নভেম্বর) ম্যাচের প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করে খেলে জার্মানি। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মুহুর্মুহু আক্রমণের বিপরীতে গোলপোস্ট বরাবর কোনো শটই নিতে পারেনি এশিয়ার দেশটি। যদিও ৮ মিনিটের মাথায় জার্মানির জালে বল ঢুকিয়েছিল জাপান। কিন্তু অফসাইডের কারণে রেফারি সেই গোল বাতিল করে দেন।
২০ মিনিটে একটি ও ২৮ মিনিটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় ম্যানুয়েল নয়্যার বাহিনীর। প্রথমবার ইলকায় গুন্দোগানের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়বার গুন্দোগানের শট গ্লাভসবন্দি করেন শুইচি গোন্ডা। ফলে হতাশাই বাড়তে থাকে ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নদের।
জার্মানি অবশেষে গোল পায় ম্যাচের ৩৩ মিনিটে। ডি-বক্সের ভেতর বল নিজের দখলে নিতে গিয়ে ডেভিড রাউমকে ফেলে দেন জাপান গোলরক্ষক। রেফারি ভেবেচিন্তে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পেনাল্টি দেয়। সেখান থেকে সফল কিকে দলকে এগিয়ে নেন গুন্দোগান। বিরতির ঠিক আগে আরও একবার জালভেদ করেছিল জার্মানি। কিন্তু সেই গোল বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে।
দ্বিতীয়ার্ধের শেষভাগে একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনে দুদল। ৭১ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন রিতসু দোয়ান। ৪ মিনিট পরই জাল কাঁপান তিনি। ৮ মিনিট পর ব্যবধান ২-১ করে সামুরাই ব্লুরা। এবার ইতাকুরার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে জার্মানিকে স্তব্ধ করে দেন তাকুমা আসানো।