শর্ত পূরণ না হওয়ায় জিএসপি বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, রাজনৈতিক কোনো কারণে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হয়নি।
যে ১৬টি শর্ত দেওয়া হয়েছে তা পূরণ করতে পারেনি বলেই জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের পোশাক খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ১০ বছর আগে থেকেই বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের উপর নজর রাখা হচ্ছিল।
রানা প্লাজা ধসের পর থেকে জিএসপি সুবিধা চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে। তবে যদি সব শর্ত পূর্ণ করে তাহলে জিএসপি সুবিধা পুনরায় ফেরত দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর নেতৃত্বে বুধবার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ গাজীপুরের দুটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
কারখানা দুটি হলো, গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনায় অবস্থিত ইউটা ফ্যাশন লিমিটেড এবং বাংলাবাজার এলাকার ইপিলিয়ন স্টাইল লিমিটেড। পরির্দশনকালে প্রতিনিধিগণ কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কর্ম-পরিবেশ, সুযোগ সুবিধা, পোশাকের মান ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন।
কারখানা পরিদর্শনে যাওয়া অন্যান্য কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বিঁউই পিয়েরে লারামি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মাইয়েদোঁ, স্পেনের রাষ্ট্রদূত অ্যাডয়ার্ডু ডে লাইগ্লেসিয়া ওয়াই ডেল রোসাল, অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ড. লুসিন্ডা বেল, ডেনমার্কের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স, ফ্রান্সের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স জ্যঁ পিয়েরে পোঁসে, কালচারাল সেকশনের ক্লেমেন্ট পাইয়োর, নেদারল্যান্ডের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স মার্টিন ভান হুগস্ট্রাটেন, রাশিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি আন্দ্রেই বানকায়েব, জার্মানির চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ড. থমাস প্রিঞ্জসহ অন্তত ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ।
এসময় বিজিএমই এর সভাপতি আতিকুল ইসলামসহ বিজিএমই এর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির