জিরাফের নীল জিহবা

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫ সময়ঃ ১:৪৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্র্রতিক্ষণ ডটকম:

tongue-of-giraffeসাধারণত আমরা মনে করি জিহ্বা খাদ্যের স্বাদের অনুভূতি জন্মায়। প্রচুর টক স্বাদযুক্ত তেঁতুলের স্বাদ টক যেমন বুঝি জিহ্বার মাধ্যমে তেমনি আবার রসগোল্লার মিষ্টি স্বাদ লাগে জিহ্বার জন্যই।

তাই জিহ্বা যে আমাদের খাদ্যের স্বাদের অনুভূতি জন্মায় এটা নিঃসন্দেহে বলতেই পারি। জিহ্বার কাজ কি এটুকুতেই সীমাবদ্ধ?

ডাক্তারের কাছে গেছেন। প্রথমেই ডাক্তার আপনার জিহ্বা দেখতে চাইবেন। কিন্তু কেন? তিনি আসলে কি দেখেন? তিনি মূলত দেখেন জিহ্বার রং। কারণ জিহ্বার রঙের পরিবর্তন অনেক ধরনের রোগের নির্দেশ করে থাকে। এর রঙের পরিবর্তন আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রোগের উপস্থিতি নির্ণয়ে সহায়তা করে থাকে।

সাধারণত সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জিহ্বার বর্ণ হয় হালকা লাল বা অনেকটা কাঁচা মাংসের মত। যদি জিহ্বার বর্ণ হলুদ হয়ে যায় তাহলে শুধু ডাক্তার নয় আমরা সবাই জণ্ডিস কিংবা কলিজা অথবা পিত্তথলির সমস্যা আছে বুঝে ফেলি। আবার জিহ্বার রং যদি নীল কিংবা সবুজাভ নীল হয় তবে ধরে নেয়া হয় তার পিত্ত বা কিডনীতে পাথর জনিত সমস্যা আছে।

এই কথাগুলো না হয় মানুষের জিহ্বার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু জিরাফের জিহ্বার রং যদি নীল দেখেন তবে কি বলবেন তারও পিত্ত বা কিডনীতে পাথর জনিত সমস্যা? না তা বলার অবকাশ নাই। কারণ জিরাফের জিহ্বা নীল রঙেরই হয়! নীল ছাড়াও জিহ্বা কালো ও বেগুনি রংয়ের হয়ে থাকে যার গোড়ার দিকটা গোলাপী।

graf-2আমরা জানি সব প্রাণী ও উদ্ভিদ নিজেদেরকে অভিযোজিত করে নেয় পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য।

জিরাফ তার ১৮-২০ ইঞ্চি সাইজের জিহ্বা দিয়ে অনেক উঁচু গাছে পাতা খেয়ে থাকে।

যেহেতু উঁচু গাছের পাতা খায় তাই সব সময়ে জিহ্বা রৌদ্রের সংস্পর্শে আসে।

ফলে রৌদ্রের তাপে জিহ্বা পুড়ে তামাটে বর্ণের হতে পারে। যাকে সানবার্ণ বলা হয়।

ধারণা করা হয় যে, জিহ্বা রঙিন হওয়ার কারণে এরা সানবার্ণ থেকে রক্ষা পায়।

আবার জিরাফের জিহ্বায় রক্তনালী কম থাকে। তাই এদের জিহ্বা অন্যান্য প্রাণীর জিহ্বার চেয়ে অনেক শক্ত তহয়ে থাকে। ফলে কাঁটাযুক্ত আকাশিয়া গাছের পাতা এরা খুব সহজেই খেতে পারে। আকাশিয়া গাছের পাতা হল জিরাফের অত্যন্ত প্রিয় খাবার।

প্রতিক্ষণ/এডি/আকিদুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G