জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আরো ওষুধ দেবে!

প্রকাশঃ আগস্ট ২০, ২০১৫ সময়ঃ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১৫ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

telapokaএ্যামেনেস্টির বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সদস্য আব্দুল্লাহ নুহু গতকাল রাতে তার ফেসবুকে একটি রুপক গল্প স্ট্যাটাস আকারে দিয়েছেন। যেটি থেকে শেখার অনেক কিছুই রয়েছে। পাঠকদের সুবিধার্থে লেখাটি হুবুহু তুলে দেয়া হল।

১.
আজ রাতে একটা অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে!
রাত জেগে কাজ করছিলাম, হঠাৎ মনে হলো, পাশে কেউ যেন কথা বলছে। খুব ধীরে ধীরে, অনেকটা ফিসফিস করে! আর কথাগুলো কেমন যেন মেঝের কাছ থেকে আসছিল!
আশেপাশে কেউ নেই জেগে! ভালো করে আশেপাশের মেঝের দিকে তাকালাম। হঠাৎ দেখি দুটো তেলাপোকা!
তেলাপোকা দুটো নজরে আসাতে আরো অবাক হয়ে গেলাম এই দেখে যে, আমি তেলাপোকা দুটোর কথা শুনতে পারছি!
২.
রাতজেগে কাজ করি। টের পাই, ঘরে প্রচুর তেলাপোকা হয়েছে। তাই, কদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে তেলাপোকার প্রতি জিরো টলারেন্স দেখিয়ে তেলাপোকা মারা ওষুধ দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন মরছেও তেলাপোকারা।
৩.
দুই তেলাপোকার পেছনের জন সামনের জনকে বলছে, “কি দরকার উনাকে বিরক্ত করার! আরো খেপবে। আরো জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আরো ওষুধ দেবে! খামোখা আমরা আরো মরবো। তারচেয়ে চল আমাদের নীতি অনুসরণ করে চলি, যে নীতি আমাদের এত দীর্ঘ সময় বাঁচিয়ে রেখেছে, সামনেও রাখবে।”
সামনের জন বলছে, “তাই বলে প্রতিদিন ওষুধ দেবে? দেখছিস না, প্রতিদিন আমাদের পুরুষসহ কত কত নারী, শিশু তেলাপোকা কেউ সরাসরি মরছে, কেউ মরছে ধুকে ধুকে?”
পেছনের জন বলছে, “ওরা বোকার মতো কাজ করলে তো মরবেই। তুই, আমি তো বোকা না, তাই দেখ এখনো বেঁচে আছি। থাকবো।
মাথা খারাপের মতো নালিশ করতে গেলে একেবারে চটকে মেরে ফেলবে তো! মাথা গরম করিস না। বুঝে শুনে কাজ কর। আর আমাদের পূর্ব পুরুষেরা বুঝেশুনে কাজ করেছে বলেই তো আমরা টিকে আছি এখনো।নিশ্চয় নিজেদের ধংস, নিজের মৃত্যু ডেকে আনতে চাস না?
যে কদিন ওষুধ দেয় কোথাও লুকিয়ে থাক। চুপ করে থাক। কথা বলতে যাবি তো, চটকে মেরে ফেলবে। ধুকে ধুকে মরার সুযোগটুকুও পাবি না!”
আমি অবাক হয়ে গেলাম, তেলাপোকা দুটোর কথা শুনে!
আরও অবাক হলাম, আমি ওদের কথা বুঝতে পারছি!!! আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি!!!

প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G