জেএমবি নেতা সাইদুরের ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর কদমতলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সাবেক প্রধান মাওলানা সাইদুর রহমানসহ তিনজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আবদুল্লাহেল কাফী ও আয়েশা আক্তার। তারা পলাতক রয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৬ এর বিচারক ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৮ ধারায় দোষী সাবস্ত করে প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ৯ ধারায় দোষী সাবস্ত করে ৭ বছর করে কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ১৮ মে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৬ এর বিচারক ইমরুল কায়েস রায় ঘোষণার জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৫ মে কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার একটি বাসায় থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি বই ও প্রচারপত্রসহ আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মাওলানা সাইদুর রহমানসহ তার সংগঠনের তিন সক্রিয় সদস্যের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাইদুরসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর ২০০৬ সালের শেষের দিকে সাইদুর রহমান দলটির প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে পুনর্গঠিত করেন। তিনি দেশের অভ্যন্তরে সস্ত্রাসী কার্যকলাপ সংগঠিত করার জন্য সুরা সদস্য নিয়োগ করে তাদের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব দিতেন। তিনি নিজে বিভিন্ন জেলায় সফর করে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করতেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই