জোহানেসবার্গে বাংলাদেশীকে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে আলাউদ্দিন জুয়েল (৩০) নামে এক বাংলাদেশীকে গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা নিহতের বাসা থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সহকর্মীদের মাধ্যমে জুয়েলের পরিবারের লোকজনের কাছে খবর পৌঁছে। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে জোহানেসবার্গে নিজ বাসায় খুন হন তিনি।
নিহত আলাউদ্দিন জুয়েল নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বালিয়াকন্দি গ্রামের খান বাড়ির খাজা মাঈন উদ্দিনের ছেলে। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে আলাউদ্দিন ছিলেন তৃতীয়।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে আলাউদ্দিনের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, পরিবারের সচ্ছলতা আনতে ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে যায় জুয়েল। পরে সেখানকার একটি সুপার মার্কেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করে সে। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজ বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে জুয়েল। এ সময় ওই দেশের সন্ত্রাসীরা জুয়েলকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে জখম করে। পরে তারা বাসা থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা চলে গেলে প্রবাসী অন্য বাংলাদেশীরা গুরুতর অবস্থায় জুয়েলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, ওই দেশে থাকা বাংলাদেশীরা তাদের জানিয়েছেন, জুয়েলের দোকানের পার্শ্ববর্তী একজন ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পরে পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে জুয়েল। মাকে সে জানায়, ওমানে থাকা তার ছোট ভাই এবং পরিবারের সঙ্গে দেশে ঈদ করবে।
এদিকে, জুয়েলের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছলে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরণ হয়। ছেলের শোকে বার বার চেতনা হারিয়ে ফেলছেন জুয়েলের মা সাহেলা আক্তার স্বপ্না ও বাবা খাজা মাঈন উদ্দিন। শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন জুয়েলের ভাই-বোনেরাও। নিহতের পরিবারের লোকজন জুয়েলের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ