জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রে জাসাস নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয় ও তার তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ‘হত্যার ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন নামে এক জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
মামলা নম্বর ১। তারিখ: ০৩-০৮-২০১৫। ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ১২-বি ধারায় মামলাটি করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ওসি গোলাম মোর্শেদ আলম।
তিনি বলেন, ‘এজাহারে মামুনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়কে ‘অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের’অভিযোগ আনা হয়েছে।’ একই অভিযোগে আমেরিকায় ছেলে জেলে যাওয়ার পর দেশেও বাবার বিরুদ্ধে মামলা হলো।
জানা গেছে, মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহ-সভাপতি। কানেক্টিকাটের ফেয়ারফিল্ড কাউন্টিতে পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি ।
অন্যদিকে জয় থাকেন পরিবার নিয়ে ভার্জিনিয়ায়। এক কন্যা সন্তানের জনক তিনি।
এর আগে ক্ষতি করার জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর কাছে জয়ের তথ্য চেয়ে সংস্থার এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেন এই মামুনের ছেলে রিজভি আহমেদ সিজার। পরে অপহরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৪ মার্চ সিজারকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন নিউইয়র্কের একটি আদালত।
ওই ঘটনায় আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
পরে ৯ মার্চ ফেইসবুকে এক স্টেটাসে জয় বলেন, ‘বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব সিজারকে মাসে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথম দফায় ৩০ হাজার ডলার ক্যাশ প্রদান করে। তদন্ত চলছে। তাই আমি তাদের নাম প্রকাশ করতে পারছি না। বিএনপি আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।’
ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অঙ্গীকার করেন তিনি।
জয় তখন স্ট্যাটাসে আরো বলেন, ‘আমাকে যখন কেউ হত্যার চেষ্টা করছে, সেটিও তখন আমি খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার হিসেবে নিচ্ছি। যারা এর জন্য দায়ী, তারা বিএনপির যতো উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বই হোক না কেন, আমি তাদের হদিস বের করে বিচারের মুখোমুখি করবো।’
জয়কে অপহরণে ষড়যন্ত্রের ওই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে আলোচনাও হয়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নানান কর্মসূচিও পালন করে।
পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান জানান, ‘২০১১ সাল থেকেই জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে।’
সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের আগামী দিনের কাণ্ডারি। দলের নেতারা তাকে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবেই বিবেচনা করে থাকেন। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও তিনি।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ওই নির্বাচনে দলকে ক্ষমসতায় আনার ক্ষেত্রে তারও ভূমিকা প্রসংশিত হয়েছে দলে। তার পরামর্শেই নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ অঙ্গীকার করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির