জয় অপহরণ ষড়যন্ত্রে বিএনপির সম্পৃক্ততা কল্পকাহিনী

প্রকাশঃ মার্চ ৯, ২০১৫ সময়ঃ ৮:০৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

salah-uddinপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি নেতার ছেলের দণ্ডের পর বিষয়টি নিয়ে রোববার রাতে সংসদে যে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এটিকে ‘কল্পকাহিনী’ ও ‘বালখিল্যপনা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

জয় অপহরণের ষড়যন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ডাদেশের বিষয়টি শনিবার গণমাধ্যমে আসার পর এই প্রথম বিএনপির কোনো নেতার কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এলো।

এরআগে রোববার রাতে বিষয়টি নিয়ে সংসদে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা অনির্ধারিত আলোচনা হয়। অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বাংলাদেশে তদন্ত শুরুর দাবিও জানান সরকারি ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যরা।

এরপর সোমবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জয় বলেন, বিএনপি আমাকে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

রোববার সংসদের ওই আলোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সদস্যদের বৈকালিন আড্ডায় বিকাশ মার্কা এমপিদের অলস সময়ের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় সাহেবের অপহরণ বিষয়ক কল্প-কাহিনীর সাথে বিএনপি হাইকমান্ড জড়িত বলে নানা চটুল বাক্যালাপ করা হয়েছে।

আমরা এ জাতীয় বালখিল্যপণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতাসুলভ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি।’

বিবৃতি সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার ক্ষমতার উত্তাপে নির্বিকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুলেটবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ব্যালটের অধিকার হরণ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, অবশেষে বাংলাদেশের সর্বজনস্বীকৃত ঘৃণ্য স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও প্রধানমন্ত্রীকে তার চাইতে বড় স্বৈরাচারের সনদ প্রদান করলেন গতকাল। গৃহপালিত বিরোধী দলের আসনে বসলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসাবে পতাকা উড়িয়ে বেড়ান।

তিনি ৫ জানুয়ারির বিনাভোটের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও তাকে জোরপূর্বক ধরে এনে সংসদ সদস্যের শপথ পাঠ করানো হয় এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দূত বানানো হয়েছে। হত্যার রাজনীতিতে পারদর্শিতার কারণে শেখ হাসিনার এই সনদপ্রাপ্তি ও স্বীকৃতি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিরূপণে সংশিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলকে সহায়তা করতে পারে।’

সালাহ উদ্দিন আরো বলেন, ‘নিপীড়ক আওয়ামী শাসকচক্রের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন সংগ্রাম প্রকৃত বিচারে জনগণের ক্ষমতায়নের একমাত্র এবং সর্বশেষ অবলম্বন হিসাবেই এখন দেশের সকল মানুষের কাছে বিবেচিত। দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশে রুপান্তরের লক্ষ্যে এই গণআন্দোলনের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।

প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনীসহ জাতীয় সনদ রচনার লক্ষ্যে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যমত্যকে অগ্রগণ্য করে জাতীয় মুক্তির এই আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ সময়ের দাবি। দিনে দিনে জনতার রক্তদানে বলিষ্ঠ রক্তঝরা এই সংগ্রাম স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়াবেই ইনশাআল্লাহ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুলেটবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ব্যালটের অধিকার হরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন সালাহ উদ্দিন।

প্রতিক্ষণ /এডি/কামরুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G