তুলসি পাতার অসাধারণ ঔষধী গুণাগুণ
সময় এসেছে আবার প্রকৃতির কাছে নিজেকে সপে দেওয়ার। এ্যালোপেথিক নামক জঞ্জালের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করে দীর্ঘ সুস্থ জীবনের দিকে হাত বাড়ান। আমরা আজকে তুলসি পাতার নানাবিধ ভেষজ উপকারীতার কথা জানবো এবং শরীর-মনকে সজীব করে তুলবো:
তুলসি পাতার গুণ: ঠান্ডা, গরা ও শরীর ব্যথা, মানসিক চাপ,ভিটামিন সি, ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি ও শিশুদের সর্দি কাশি নিরাময় করে।
ঠাণ্ডার সমস্যা: ঠাণ্ডা লাগলে তুলসি পাতার ব্যবহার আশীর্বাদের মতো কাজ করে। গলার সবরকম সমস্যায় তুলসি পাতা ব্যবহৃত হয়।
হার্টের জন্য: তুলসি পাতায় আছে ভিটামিন সি ও এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে। তুলসি পাতা ও অর্জুন পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মানসিক চাপ ও রক্তচাপ কমায়: তুলসি পাতাতে বিদ্যমান ভিটামিন ও এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। নার্ভকে শান্ত রাখে ও পাতার রস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
মাথাব্যথা কমাতে: মাথাব্যথা ও শরীরব্যথা কমাতে তুলসি পাতা ও লবঙ্গ কুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংসপেশীর খিঁচুনি রোধ করতে সহায়তা করে।
বয়সজনিত সমস্যা: তুলসি পাতায় ভিটামিন সি, এসেন্সিয়াল অয়েল বিদ্যমান থাকায় বয়সজনিত সমস্যাগুলো দূর করে চির যৌবন ধরে রাখার টনিক হিসেবেও কাজ করে।
দেহ ও মনে সজীবতা: নিজেকে অকালেই বৃদ্ধ মনে হচ্ছে? পানের সাথে রোজ সকালে তুলসি গাছের শিকড় ও আদা চিবিয়ে খেলে দেহ ও মনে সজীবতা ফিরে পাবেন।
ত্বকের সৌন্দর্যে: তুলসি পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলসি পাতা বেটে মধু ও হলুদসহ সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর, মসৃণ ও কোমল হয়।
সর্দি-কাশিতে: যে সকল শিশুদের সর্দি কাশির প্রবণতা বেশি তাদের সকালে ৫/১০ ফোঁটা তুলসি পাতার রস মধুসহ খাওয়ালে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ