দেওয়ালের ভেতরে অবরুদ্ধ এক পরিবার
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট নুরুল হক ও তার ছেলের বিরুদ্ধে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বাড়ি থেকে উৎখাত চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এতে অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ গোলদারের পরিবার।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য নূরুল হকের বড় ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম বলছেন, ঐ জমি তারা কিনে নিয়েছেন।
ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
দেয়াল তোলার কারণে পাইকগাছা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ গোলদারের পরিবার এক প্রকার অবরুদ্ধ। তাদের চলাচল করতে হচ্ছে দেয়ালের নিচে গর্ত কেটে বা মই দিয়ে।
আব্দুল আজিজ বলেন, “চলতি বছর ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্য নুরুল হকের ভাতিজা শেখ আলাউদ্দিন আমার পরিবারের ১৬ সদস্যের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেছে হেনস্তা করার জন্য।”
মামলার পর গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ির পুরুষ সদস্যরা আত্মগোপনে গেলে ৫ জানুয়ারি মনিরুল লোকজন নিয়ে এসে প্রাচীর তুলে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেন বলে জানান আজিজ গোলদার।
“এর এক সপ্তাহ পর এলাকায় ফিরলে মনিরুলের লোকজন আমাকে মারধর করে পুলিশে দেয়। সে সময় আমাকে ২৬ দিন জেলে থাকতে হয়।”
গত দেড় মাস ধরে এই প্রাচীরের ভেতরেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে জানিয়ে আজিজ বলেন, “দেয়াল তোলার কারণে যাতায়াতের পথ বন্ধ থাকায় আমরা দেয়ালের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ কেটে কিংবা দেয়ালে মই দিয়ে উঠে যাতায়াত করছি।”
এ ঘটনায় তিনি দুটি মামলা করেছেন জানিয়ে বলেন, মনিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বসতবাড়ি ভাংচুরের একটি মামলা করা হয়েছে। আর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে করা হয়েছে আরেকটি মামলা।
তবে তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংসদ সদস্যের ছেলে মনিরুল ইসলাম।
তার ভাষ্য, এই ৫০ শতক জমির মালিক ছিলেন ঠাকুর দাস হালদার ও তার সহোদর অজিত হালদার। তাদের জমি ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচ লাখ টাকায় কিনে নেন তিনি।
মনিরুল পাল্টা অভিযোগ করেন, “আজিজ গোলদার ঐ দুই সহোদরের জমি অবৈধভাবে দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন।”
দেয়াল তোলার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের কেনা জমি দখলের জন্য দেয়াল তুলেছি।”
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য নূরুল হক বলেন, “আমি একজন আইনজীবী। কাগজপত্র দেখে ছেলেকে এই জমি কিনতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছি।”
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ