দেড় বছরের মধ্যে সিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে সিএসইতে। তবে দিনভর মিশ্র প্রবণতা থাকলেও দিনশেষে পতন ঘটে সূচকের। ডিএসইতে সূচক কিছুটা কমলেও বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে টানা কয়েক দিন যাবৎ বেড়েছে সূচক ও লেনদেন। আর টানা উধ্বমুখী থাকার পর আজকের দর পতনকে সংশোধন হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
দিনশেষে ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৪৫৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬৭৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১২৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৭৮২ কোটি ৯০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৫১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৪৫৯ পয়েন্টে।আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬৮৬ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৮০৮ কোটি ৭৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বা ৩.২০ শতাংশ। আর মঙ্গলবারের লেনদেন ছিল প্রায় গত ৭ মাসের সর্বোচ্চ । কারণ এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর ডিএসইতে ৮৪৬ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮৪১৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ৯৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকার অংকে ১১৭ কোটি ৮৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। যা দেড় বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৬০ কোটি ৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮৪০৮ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৬৯ কোটি ৩২ লাখ ২১ হাজার টাকা। সে হিসেব আজ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা বা ৭০.০৭ শতাংশ।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর