ধর্ম প্রচারে রোবট!
বেজিং এর উপকন্ঠে একটি বৌদ্ধ মন্দিরে এমনই এক রোবট সন্ন্যাসীর দেখা মিলবে, যে মানুষকে ধর্মের নানা মৌলিক মতবাদ ব্যাখ্যা করবে।
লংকুয়ান মন্দিরের এই রোবট সন্ন্যাসী সম্পূর্ণ ভাবে আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি।
নানা সমস্যার সমাধান পেতে এখন সবাই জিয়ানার শরণাপন্ন হয়েছেন। জটিল সমস্যার সরল সমাধান মুহূর্তের মধ্যেই বাতলে দিতে পারে এই মানব যন্ত্রটি। এক নজরে দেখে নিন কী ভাবে সব সমস্যার সমাধান করছে সে।
২ ফুট লম্বা এবং হলুদ রংয়ের জিয়ানারকে দেখতে অনেকটা বৌদ্ধ ধর্মাম্বলীদের মতোই বুকের সামনে থাকা একটি টাচ স্ক্রিন সবসময় ধরে থাকে এই সন্ন্যাসী। তবে জিয়ানারের ‘ধর্মগুরু’ কিন্তু জিয়ানফ্যান। তিনিই জিয়ানকে তৈরি করেছেন।
বিজ্ঞানী জিয়ানফ্যান জানিয়েছেন, চিন ছাড়াও সারা বিশ্বে বৌদ্ধ ধর্মকে ছড়িয়ে দিতে জিয়ানারকে তৈরি করা হয়েছে।এই রোবট সন্ন্যাসীর পায়ে চাকা লাগানো আছে, যার ফলে সে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে পারে।
এই রোবট সন্ন্যাসীর জ্ঞান যাচাই করতে সাউথ চায়না মর্নিং পোষ্টের এক সাংবাদিক তাকে একের পর এক প্রশ্ন করেন। সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর সাবলীল ভাবে দেয় রোবট। সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘তুমি কি আজ খাবে?’ জিয়ানার তত্ক্ষণাত্ উত্তর, “এটি একটি অবান্তর প্রশ্ন। রোবট খায় না।”
ফের সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “আজ কি শেয়ার বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে? জিয়ানার জানায়, “এ প্রশ্নের উত্তর আমি কী ভাবে দেব?”ট্রাফিক জ্যামে ফেঁসে গেলে আমার কী করা উচিৎ?”
সাংবাদিক প্রশ্ন করলে জিয়ানার আশ্বস্থ করেন, “বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ পাঠ করবার এটাই মক্ষম সময়।” নিজের স্ত্রী সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্ন, “আমার গোমড়ামুখো স্ত্রীর সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করা উচিত? জিয়ানার জানায়, “তুমি ওর পাশে থেকো, ডিভোর্সের অনুমতি আমি তোমাকে দিতে পারি না।”
সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, “আমার খুঁত খুঁতে মা’র সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিৎ?” প্রশ্নে জিয়ানার বলে, “বৃদ্ধ মানুষেরা ও রকম করে থাকেন। তিনি যা বলছেন তা মেনে চলো।”শেষে সাংবাদিক বলেন, “এ জীবন আর আমার ভাল লাগে না।” ধার্মিক জিয়ানার শান্ত কন্ঠে আশ্বাস দেয়, “এ জীবনে তুমি একাই দুঃখী নও।”
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন