ধর্ষণ-যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে এন্টি সিগনাল প্রয়োজন
ধরুন, কারো Sex উঠছে। মানে He wants to have cohabitation badly. এই অবস্থায় সে এক শিশুকে পেলো, অথবা ৬০ উর্ধে একটা বুড়ী কে পেলো অথবা কোনো ভদ্রলোকের বউ কে পেলো । আশেপাশে কেউ নাই, এমনকি তার ভিতরে পশু ছাড়া আর কিছু নাই। যেহেতু আশেপাশে কেউ নাই এবং তার পশুবৃত্তি জেগেছে সে রেপ করবেই!
আল্লাহ, নবী, ভগবান কারো বাণী সে মানবেনা ! শুধু আল্লাহ, নবী, ভগবানের ভয়ে খারাপ কাজ না করার যোগ্যতা অর্জন করতে একজীবন সাধনা করতে হয়; একটা ভালো পরিবারে জন্ম নিতে হয়। মানবিক হতে হয়। টুপি, পুতি পরেছে অথবা বড় বড় সমাজ সেবা করেছে বলেই কাউকে সেই যোগ্যতা অর্জনকারী ভাববেন না। সারা বছর নামাজ পড়ে, পুঁজা করে, সমাজসেবা করে কাজের মেয়েকে প্রেগন্যান্ট করেছে এমন ইতিহাস হাজারো আছে।
কোনো লোকের Sex উঠলে তার মাথা সিগন্যাল দেয় “Penetrate your penis into a hole. Ejaculate your semen, no matter how old, young or ugly the hole is, how innocent the hole is, how sin nest the hole is. Be perverted, be the beast.” এই সিগন্যালকে রুখবেন কিভাবে যখন সেখানে কেউ নেই? এই সিগন্যালকে রুখতে ব্রেনে একটা এন্টি সিগন্যাল সৃষ্টি করতে হবে – জাতীয় ভাবে প্রতিটি ব্রেনে এই সিগন্যাল সৃষ্টি করতে হবে।
সিগন্যাল হলো- প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড। অথবা এমন শাস্তি যার কথা ভাবলেও মনে ভয় চলে আসে। গা শিহরিত হয়।দেশের প্রচলিত আইনে যদি জনসম্মুখে ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়া হয়; তাহলে এমনকি পশুরও যদি সেক্স ওঠে তাহলে তার ব্রেন তাকে সিগন্যাল দিবে। এমনভাবে ধর্ষনের শাস্তি প্রচার করতে হবে যে দেশের প্রতিটি মানুষ তা জানবে।
বাংলাদেশের মানুষ পুলিশ দেখে ভয় পায়না কিন্তু RAB দেখে ভয় পায়, কেন ? আর্মি দেখে ভয় পায় কেন? RAB দেখলে ব্রেন ‘ক্রসফায়ারের’ সিগন্যাল দেয়, মানুষ ভয় পায়।
আমি মন্ত্রীদের সম্পর্কে, বিরোধীদলের লোকদের সম্পর্কে, আমার চেনা খারাপ কিছু মানুষের সম্পর্কে, ক্ষমতাশালীদের সম্পর্কে হাজারো লেখা লিখে আবার মুছে দেই- কারণ আমার ব্রেন আমাকে সিগন্যাল দেয় এদের সম্পর্কে লিখলে আমার একটা চাকরি নাও হতে পারে। আমি সাপ ধরিনা – কারণ আমার ব্রেন সিগন্যাল দেয় সাপ কামড় দিলে মারা যাবো।
প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে আগামী ১০০ বছরে কেউ হামলা করবে না, যদি সে খবরটা জানে যে তাকে হামলার দায়ে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়। যারা রাজনীতি বুঝেন তারা খুব ভালো করে জানেন খুব সচেতনভাবে রাষ্ট্র ব্যবস্থা মানুষের মনে এই সিগন্যাল তৈরি করে দিয়েছে।
কোটা সংস্কারের সময় ছাত্রদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ব্রেনে সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে – আন্দোলন মানেই হাতুড়ি পেটা।বস্তুত কাউকে শাসন করতে হলে ভালোবাসা দিয়ে কাজ না হলে ভয়ের সিগন্যাল তৈরি করতে হয়। এটা অন্যায় না। আপনি দেশের শ্রেষ্ঠ মানুষ, দেশের মাথাকে হামলা করবেন তা তো হতে পারেনা !
ধর্ষন রুখতেও একটা এন্টি সিগন্যাল তৈরি করতে হবে ব্রেনে। আমি বুঝিনা, একটা গণতান্ত্রিক দেশের ৯০% লোক যে আইন চায় সেই আইন কেন বাস্তবায়িত হয়না ? অথচ কঠোর আইন সম্ভাব্য ধর্ষকের মনে ভীতির সঞ্চার করে তার মনে এমন সিগনাল দেবে সে এই কাজ করা থেকে নিজে থেকেই বিরত থাকবে।
্এখন কথা হলো, বেশিরভাগ লোক ধর্ষণের বিপক্ষে তারপরও দিন দিন ধর্ষণ বেড়ে চলছে, কেন ? ঐ যে ব্রেন সিগন্যাল তৈরি করেছে এদেশে বিচার নাই – বুঝলে মামু ? যদি এর উল্টোটি হয় অর্থাৎ এন্টি সিগন্যাল তৈরি করে দেয়া যায়, তাহলে কেমন হবে ? হ্যাঁ উল্টে যাবে দৃশ্যপট।
সব-ই সিগন্যাল এর খেলা। আর ব্রেন এই সিগনাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । রিক্সওয়ালারা অবশ্য এটার উচ্চারন করে “সিঙ্গেল”। মামা সিঙ্গেল দেন তো, সিঙ্গেল দেন।
ফখরুদ্দিন আসিফ, মোটিভেশনাল স্পিকার
প্রতি/ এডি/ রন