নারায়ণগঞ্জে পদদলিত হয়ে নিহত ১০
জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে রাজঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও সাতজন মহিলা রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের নিতাই চন্দ্র দাশ ও বাবুল বিশ্বাস, কুমিল্লা জেলার চান্দিনার রঞ্জিত মল্লিক, দাউদকান্দির কানন বালা, মেঘনা থানার তুলসী দেবনাথ, রাজধানীর ধানমণ্ডি জিগাতলার ভগবতী দাশ, লালবাগের রাখি, মানিকগঞ্জের মালতী দাশ, নোয়াখালীর কবিরহাটের ভানুমতি দাশ। এছাড়া ১১ বছরের এক মেয়ে শিশু রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার ভক্তরা পুণ্যস্নানের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লে ভিড়ের চাপে কয়েকজন পরে যান। এসময় পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়। হতাহতদের নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন আহত আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নাননোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিতোষ কান্তি সাহা জানান, শুক্রবার ভোরে মহাষ্টমী স্নান উৎসবের লগ্ন শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থী স্নান উৎসবে অংশ নেয়। এসময় এতো মানুষের ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে মারা যায় তারা।
লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসবের সেক্রেটারি বাসুদেব চক্রবর্তী জানান, নিহতের পরিবারের লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
অন্য বারের তুলনায় এবার পানিতে অতিরিক্ত কচুরিপনা ও কাদামাটি থাকায় স্নান করতে আসা লোকজন চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন গভীর শোক জানিয়েছেন। এদিকে প্রত্যেক নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড থেকে তিথি শুরু হওয়ার পরেই ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানে নামে হাজার হাজার হিন্দু পুণ্যার্থী। এবার শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই বৃহস্পতিবার রাতে এসেই বন্দরে স্নান উপলক্ষ্যে তৈরি বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। স্নানোৎসব শেষ হবে শনিবার ভোর ৬টা ৫৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে।
প্রতিক্ষণ/এডি/আরিফ