নির্বাচনী প্রচার শুরু কুমিল্লায়
কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র টাউন হলে (বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন) ছিল উপচেপড়া ভিড়। মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের সমর্থক নিয়ে হাজিন হন টাউন হলে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে বুধবার ছিল প্রতীক বরাদ্দের দিন।
আর প্রতীক পাওয়ার পরই শুরু হলো আনুষ্ঠানিক প্রচার। নতুন মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে কুমিল্লায় শুরু হলো ভোটযুদ্ধ। মেয়র পদে লড়ছেন তিনজন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা পেয়েছেন নৌকা। বিএনপির প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন দলের প্রতীক ধানের শীষ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শিরিন আক্তার পেয়েছেন তাঁর দলের প্রতীক তারা। এছাড়া ১১৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪০ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরাও প্রতীক পেয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল।
আনন্দঘন পরিবেশে প্রার্থীরা প্রতীক গ্রহণ করেন। প্রার্থীদের সঙ্গে ছিলেন নিজ দল বা সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী। আর প্রতীক নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিকতা। প্রতীক পাওয়ার পরই শহরের অলিগলিতে নিজেদের প্রতীক নিয়ে মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু করেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আগামীকাল থেকেই শহরে শোভা পাবে প্রতীকসহ প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানার।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পর এবারই প্রথম কুমিল্লা সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অর্থাৎ মেয়র পদপ্রার্থীরা এবারই প্রথম দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। ২০১২ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। তারপরেও নির্বাচনে অংশ নেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্বু। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আফজল খানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।
তবে এবার বিএনপি সরাসরি মনোনয়ন দিয়েছে মনিরুল হককে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লড়ছেন আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা।আগামী ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সিটির দ্বিতীয় নির্বাচন।
প্রতিক্ষণ/এডি/অনু