পর্তুগালে প্রবাসীদের নারী দিবস পালন
রনি মোহাম্মদ (পর্তুগালের লিবসন থেকে)
পর্তুগালে অবস্থানরত প্রবাসী ইমিগ্রেন্টদের নিয়ে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো নারী দিবস পালন করা হয়। ‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা’ এই প্রতিপাদ্যে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে উদযাপন করা হলো বিশ্ব নারী দিবস।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেন্টসদের নিয়ে কানাই আডোটরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান সলিদারিয়েদাদ ইমিগ্রেন্টে।
বাংলাদেশের শারমিন মৌ এবং লুক্সেমবার্গের জেসিকা লোপেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের অধিকারের আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাসের উপর দেখানো হয় একটি প্রামান্যচিত্র।
অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা’ এর উপর ভিত্তি করে ইংরেজী, পর্তুগীজ ও স্পেনিশ ভাষায় শারমিন মৌ ও জেসিকা লোপেজ তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘নারীর অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরুর পর থেকে প্রায় ১০৬ বছর পার হয়ে গেছে। মজুরি বৈষম্য কিংবা কাজের অমানবিক পরিবেশের অবস্থারও তো এখনও পরিবর্তন হয়নি, যার জন্য দু’শ বছর আগে নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিল সুতা শ্রমিকরা। দুশো বছরে আকাশ সমান পরিবর্তন এসেছে পৃথিবীতে, শুধু নারীর জীবনের পরিবর্তন হয়নি’।
তারা আরও বলেন, ‘বিশ্বে প্রতিবছর হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়, খবরের কাগজে ছাপা হয়েও বাতাসে মিলিয়ে যায় অসংখ্য লাঞ্ছিত, নিগৃহিত, ধর্ষিত, আক্রান্ত, নিহত নারী-কন্যার কাহিনী। সে সব দেশে নারীর নামে বিশেষ দিবস পালন নিতান্ত হাস্যকর’ !
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, চীন, ব্রাজিল, এ্যাঙ্গোলা, কাপে ভের্দে, বাংলাদেশ, গিনিবিসাও, মরক্কো, লুক্সেমবার্গসহ বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেন্টেদের নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয় ।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ
====