পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া দামে তেল বিক্রি করবে না রাশিয়া

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ২৯, ২০২২ সময়ঃ ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিকে ডেস্ক

ভ্লাদিমির পুতিন জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে নতুন পাল্টা রণকৌশল নিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর চাপের মুখে পুতিন সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাননি। উল্টো বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্দেশনা জারি করে ঘোষণা করেছেন।

পুতিন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জি-৭-সহ পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া দামে যে তেল কোম্পানিগুলি তেল কিনতে চাইবে, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের কাছে তেল বিক্রি করা হবে না।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে সমুদ্রপথে সরবরাহ রাশিয়ার তেলে নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে তারা এবং জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলি (কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন, আমেরিকা) গোটা বিশ্বের জন্য সেই তেল কেনার দামে বেঁধে দিয়েছে ব্যারেল পিছু ৬০ ডলার। সেই সিদ্ধান্তকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা— ‘‘যে বিদেশি ব্যক্তি এবং সংস্থা বেঁধে দেওয়া দামে তেল কিনতে চাইবে রাশিয়ার দরজা তাদের জন্য বন্ধ।’’

মস্কোর অভিযোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ অশোধিত তেলের (উরাল ক্রুড) যে দাম বেঁধেছে তা উৎপাদন খরচের থেকে ১২-১৫ ডলার কম। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলির বাজার বন্ধ হওয়ায় রাশিয়ার তেল উৎপাদনকারীরা সঙ্কটের মুখে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে তেল তাদের বেচতেই হবে। তাই এশিয়ার মতো বিকল্প বাজারে খুঁটি শক্ত করতে অন্যান্য সরবরাহকারীদের থেকে বেশি ছাড় দিয়ে ক্রেতা টানা ছাড়া উপায় নেই। যার সুবিধা পাচ্ছে ভারতের মতো বিপুল তেল আমদানিকারী দেশ।

আমেরিকা ও ইউরোপের দাবি, দাম বাঁধলে ও নিষেধাজ্ঞা চাপলে রাশিয়ার তেল বাজারে আসা পুরো বন্ধ হবে না। ফলে দামের স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। মস্কো অতিরিক্ত লাভের মুখ দেখবে না এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া সত্যিই রফতানি বন্ধ করলে অশোধিত তেলের দাম মাত্রা ছাড়াতে পারে। যা নতুন করে তৈরি করবে ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা। আরও মাথাচাড়া দিতে পারে মূল্যবৃদ্ধি। মস্কোও পরিস্থিতি বুঝে সেই পথেই হাঁটতে চাইছে বলে বুধবার বুঝিয়ে দিল পুতিনের নির্দেশনা।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

September 2024
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
20G