পাকিস্তানে মসজিদে হামলায় নিহত ১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুক হামলা চালিয়েছে দেশটির চরমপন্থী জিহাদিরা। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
এ হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক। আহতদের পেশোয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অনেকেরই অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তাই নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার তথ্যমন্ত্রী মুসতাক ঘানি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারে শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন ডটকম।
ডনের সর্বশেষ খবরে বলা হয়, ভেতরে কমপক্ষে ৮০০ লোক ছিল। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর দেওয়া তথ্যমতে, তিন জন আত্মঘাতী হামলাকারী মসজিদে ঢুকেছিল। এদের মধ্যে একজন নিজেকে উড়িয়ে দিতে পারলেও বাকি দুজন বাহিনীর গুলিতে মারা যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় তিন জন হামলাকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ড. মিয়া সাঈদ বলেছেন, তিন হামলাকারী প্রবেশ করলেও একজন আত্মঘাতী হামলা চালাতে পেরেছে। দ্বিতীয় জন পুলিশের গুলিতে নিহত হন। অপর হামলাকারীকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গ্রুপ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সশস্ত্র যোদ্ধারাই এ হামলা চালিয়েছে। যারা গত বছর ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৫০ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী।
এ ছাড়া তালেবান থেকে বের হয়ে আসা চরমপন্থী গ্রুপ জুনদুল্লাহও এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
গত মাসে সিন্ধু প্রদেশের একটি মসজিদে জুমার নামাজের পর আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছিল চরমপন্থী গ্রুপটি। সিন্ধুর শিকারপুরে ৩০ জানুয়ারির ওই হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হন।
প্রতিক্ষণ /এডি/কেয়া