পাখির সমাজবদ্ধ বসবাস!

প্রকাশঃ এপ্রিল ২০, ২০১৫ সময়ঃ ৬:১২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:৪১ অপরাহ্ণ

social-weaver-birds1গাছের উপর ২০ ফুট লম্বা, ১৩ ফুট চওড়া বাসা। বলতে পারবেন এই বাসায় কে বা কারা থাকে? বাঘ, ভল্লুক কিংবা অন্য কোনো জন্তু?

না আপনার ধারণা ভুল, এ বাসায় পাখির বাস! পাখিরা কমিউনিটি বা সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করে এই বাসায়।

আশ্চর্য এই পাখির নাম সোস্যায়েবল ওয়েভার। যা দেখতে আমাদের দেশের বাবুই পাখির মতো। আজব এই পাখির বাস দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে।

ওই অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা যেমন প্রচণ্ড বেশি, রাতে আবার প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আর এই বাসাই অতিরিক্ত গরম এবং ঠাণ্ডা থেকে সোস্যায়েবল ওয়েভারকে রক্ষা করে।hqdefault4

একটি বাসায় এক শ’র উপরে ছোট ছোট ঘর থাকে। একটি আস্তানায় সাধারণত তিন শ’ থেকে চার শ’ পাখি বাস করে। বাসার ছোট ছোট কুঠুরিতে আলাদা আলাদা পরিবার বসবাস করে।

বাসার মাঝখানে থাকা ঘরগুলো বেশি উষ্ণ। যা রাতের হিমশীতল আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে। আর বাইরের ঘরগুলো তুলনামূলকভাবে একটু ঠাণ্ডা। দিনের গরম থেকে রক্ষা পেতে এই ঘরগুলোতে আশ্রয় নেয় পাখিরা।

sociableweaversdiscoveracookie3পাখির এই বাসার ওজন দুই হাজার পাউন্ডেরও বেশি। বাসাটি প্রায় এক শ’ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বাসার উত্তরাধিকার এই পাখিরা বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে।

মোটা ঘাস, পাখির পালক, বাতাসে ভেসে আসা তুলো, খড়কুটো আর গাছের ডাল দিয়ে নিজেদের বাসা তৈরি করে সোস্যায়েবল ওয়েভার। তবে সমস্যা হল বাসাটি অক্ষুন্ন থাকলেও অনেক সময় এর ভারে আশ্রয়দাতা গাছটি ভেঙে পড়ে। এমনকি অনেক সময় মারা যায় আশ্রয়দাতা গাছটি।

সূত্র: হাফিংটনপোস্ট

প্রতিক্ষণ/এডি/এআই

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G