পাথরের দ্বীপের নীরব সৌন্দর্য্য

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৫ সময়ঃ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১২ পূর্বাহ্ণ

অনীক মাহমুদ

একঘেয়ে জীবন-যাপনে ভারাক্রান্ত মন। পারা যাচ্ছে না আর, একটু নিস্তার দরকার। নিজ অন্তর বার বার একটু প্রকৃতিতে হারাবার জন্য ডুকরে মরছে ? কি করা যায়, কি করা যায় প্রশ্নের উত্তর খুজছেন মনে মনে ? বেরিয়ে পড়ুন প্রকৃতির খোঁজে। আমাদের দেশ অপরুপ সৌন্দর্য্যের দেশ। যে সৌন্দর্য্য ভারাক্রান্ত মনকে নিমিষেই করে দিতে পারে সতেজ। সৌন্দর্য্য
ধরে নিন না, সেই নিরব সৌন্দর্য্যের গ্রহনের জন্য আপনি এখন একটি দ্বীপে। যেই দ্বীপটিতে পাথরের ছড়াছড়ি আর দ্বীপের মাঝে রয়েছে একটি কেয়া গাছের বন। দ্বীপটি ঘিরে পাথরের বড় বড় স্তূপ যাতে আছড়ে পড়ে বড় বড় ঢেউ আপনাকে শোনাচ্ছে সুমধুর সংগীত। সেই বড় বড় পাথরে তৈরি করা বাঁধে বসে গল্পও করতে পারেন। নিতে পারেন সাগরের মাঝে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা। চাঁদনী রাতেরও আছে অসহ্য সৌন্দর্যের গল্প ।সৌন্দর্য্য
হ্যাঁ ! এরুপ অসাধারণ সৌন্দর্য্যমণ্ডিত একটি দ্বীপের নাম “ছেড়া দ্বীপ”। যার নিশ্চুপ সৌন্দর্য্যতা মুহুর্তের মধ্যেই সতেজ করে দেবে আপনার মনকে ।

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের স্থান ও দ্বীপের নাম হলো ছেড়া দ্বীপ। ২০০০ সালের শেষের দিকে এই দ্বীপটির সন্ধান পাওয়া যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কি: মিটার দক্ষিণে এ দ্বীপটির অবস্থান। ছেড়া দ্বীপের আয়তন ৩ কি: মিটার।সৌন্দর্য্য

ছেড়া দ্বীপের যা দেখা যাবেঃ ছেড়া দ্বীপ অর্থাৎ অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সামুদ্রিক ঢেউ আর প্রবাল পাথর ও পাথরের তৈরী বিভ্ন্নি কারুকার্য চোখে পড়বেই ছেড়া দ্বীপে। সারিসারি নারিকেল গাছ। চাঁদনী রাতে ছেড়া দ্বীপ সাজে তার অপরুপ সাজে। চাঁদনী রাতে যে কোন ভ্রমণকারীর মনভরে যাবে ছেড়া দ্বীপের অপরুপ শোভা অবলোকন করে।
ছেড়া দ্বীপের সাবধানতাঃ জোয়ারের সময় ছেড়া দ্বীপ অনেকাংশে ডুবে যায়। এই সময়ে ভ্রমণকারীদের খুব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অসাবধানতা ঘটাতে পারে যে কোন ধরনের বিপদ।সৌন্দর্য্য

প্রয়োজনীয় তথ্যঃ টেকনাফের উদ্দেশে ঢাকার ফকিরাপুল ও আরামবাগ থেকে শ্যামলী, হানিফ, রিলাক্স, সৌদিয়া, সেন্টমার্টিন বাস ছেড়ে যায় সকাল ও রাতে। ভাড়া নন-এসি ৯৫০ ও এসি ১ হাজার ৪৫০ টাকা। টেকনাফ থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, কুতুবদিয়া জাহাজ প্রতিদিন সকাল ৯টায় ছেড়ে যায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে। ভাড়া যাওয়া-আসা ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে বা স্পিডবোটে যাওয়া যাবে ছেড়া দ্বীপ। ট্রলারে প্রতিজন আসা-যাওয়া ২০০ টাকা। চাইলে স্পিডবোট বা ট্রলারও রিজার্ভ নেয়া যাবে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এ এম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G